টাকার লোভ বড় বালাই! গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলায় স্বামীকে হারিয়েছেন স্ত্রী৷ এমন মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যেই দেওরকে বিয়ে করার জন্য জোরজবরদস্তি করে চলেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ি কারণ বড় ছেলের মৃত্যুতে প্রাপ্ত অর্থ যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায়৷
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপি জওয়ানের মৃত্যু হয়। নিহতের মধ্যে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সি গুরুও। মাত্র দশ মাস আগে কলাবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দিন দশেক বাড়িতে ছুটি কাটানোর পরে ১৪ ফেব্রুয়ারিই কাজে যোগ দিয়েছিলেন গুরু। তার পরেই আসে ওই খবর। গুরুর মৃত্যুর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে যে অর্থসাহায্য এসেছে, তা যাতে বাড়িতেই থাকে, তা নিয়ে যাতে গুরুর স্ত্রী চলে না যেতে পারেন, তাই ক্রমাগত তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁরই সমবয়সী দেওরকে বিয়ে করার জন্য৷ কলাবতী পুলিশের দ্বারস্থ হলেও ‘সাংসারিক ঝামেলা’র দোহাই দিয়ে কোনরকম হস্তক্ষেপই করেনি৷ বরং নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে৷
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় নিহত জওয়ানদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে একাধিক সংগঠন। গুরুর পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেই সঙ্গে কলাবতীকে সরকারি চাকরি। এ ছাড়াও একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিহত জওয়ানদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছে। আরও বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ও সিআরপিএফের দেওয়া ক্ষতিপূরণ তো মিলবেই।প্রয়াত কন্নড় নেতা-অভিনেতা অম্বরীশের স্ত্রী সুমালতা গুরুর স্ত্রীকে দেড় বিঘা জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সব মিলিয়ে কলাবতী এখন লক্ষ লক্ষ টাকা-জমির মালিক। আর তাই পুত্রশোক সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে টাকার লোভে বাড়ির নতুন বৌকে নিয়ে চলছে টানাটানি।