বিমান হানায় পাক মদতপুষ্ট কোনও জঙ্গীর মৃত্যু হয়নি। কোনও জঙ্গী ডেরাও ভাঙা হয়নি এয়ারস্ট্রাইকে। বরং পাকিস্তানকে ভয় পাইয়ে দিতেই ভারতের তরফে এই বিমান হানা করা হয়েছিল। কার্যত এই কথাই স্বীকার করে নিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলুওয়ালিয়া সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বায়ুসেনার হামলায় জঙ্গী ডেরায় ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে বলেন, ‘পাকিস্তানে ঢুকে বোমা ফেলে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা করলে যে কোনও সময়ে ক্ষয়ক্ষতি করতেও পারি আমরা’।
আলুওয়ালিয়ার কথায়, ‘কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তার কারণ, তোমার বাড়ির পাশে বোমা ফেলে বুঝিয়ে দেওয়া হল ইচ্ছে করলে তোমার বাড়িতেও ফেলতে পারি। এটাই দরকার ছিল। পাকিস্তানের সমস্ত সুরক্ষা বলয় টপকে বোমা ফেলে বুঝিয়ে দিয়েছি এটা আমরা করতে পারি। নীরিহ মানুষের প্রাণ নেওয়া আমাদের লক্ষ্য ছিল না’। তাঁর দাবি, ‘বিমানহানার পর চুরুতে প্রথম জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি কি মৃতের সংখ্যা নিয়ে কিছু বলেছেন? বিজেপির কোনও মুখপাত্র মৃতের সংখ্যা নিয়ে কিছু বলেছেন? অমিত শাহ কিছু বলেছেন? এই জন্যই বলেননি’।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গীশিবির লক্ষ্য করে বিমানহানা চালায় ভারত। বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান ৩টি লক্ষ্যে বোমা ফেলে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হয়, এই হানার ফলে প্রায় সাড়ে তিনশো জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে। উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু সেসবই যে ভোটের উদ্দেশ্যে প্রোপাগাণ্ডা ছিল আলুওয়ালির মন্তব্যে সেটা প্রমান হয়ে গেল।
ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পরেই মৃতের সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট তথ্য পেশ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। অথচ এই বিমান হানার ফলে বিজেপি কর্নাটকে ২২ টি আসনে নিশ্চিত জিতবে বলে বিজেপি নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বুঝিয়ে দেন, ভোটের মুখে এটাকে হাতিয়ারই করেছে মোদী সরকার। সেনার মৃত্যু এবং এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে পুরোদমে।
