এখনও ঘুরে দাঁড়ায়নি দেশের অর্থনীতি। সেই ভয়াবহ কালো দিনের পর পেরিয়ে গেছে দু’বছরেরও বেশি সময়। তবে মোদীর মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলতে পারেননি, প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের কথা তিনি আগে জানতে পেরেছিলেন! আর তা নিয়ে এখনও কথায় কথায় বিরোধীরা কটাক্ষ করেন কেন্দ্রকে। রাহুল গান্ধী যেমন আজও বলেন, ফ্রান্সে অনিল আম্বানিকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাফাল চুক্তি করে এসেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালের বদলে যে আম্বানি বরাত পাচ্ছেন, সেটি তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করও জানতেন না। এমনকি রাতারাতি গোটা চুক্তির স্বরূপ বদলে যাওয়ার কথাও জানা ছিল না বিদেশসচিব বা বিদেশমন্ত্রীর!
এবার এল পাকিস্তানে বায়ুসেনার হামলা। যা নিয়ে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এবার এক বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন। স্বামী বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গী ঘাঁটিতে যে হামলা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার শরিক ছিলেন মোট সাত জন। কারা সেই সাত জন? সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, তাঁরা হলেন— প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, আইবি, র এবং তিন সেনার প্রধান। স্বামীর এই ‘জানতে পারা’ থেকে আবারও বিরোধীদের কাছে ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল যে, এবারও এত বড় পরিকল্পনার কথা জানতেই পারল না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী রাজনাথ সিং! মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিও ছিল একই রকম অন্ধকারে।
সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই কংগ্রেস এখনও সংযত। কিন্তু দলের এক নেতা বলেন, “নিজেকে ছাড়া আর কারও কথা ভাবেনই না মোদী। স্বৈরতন্ত্র তাঁর ডিএনএ-তে! বিরোধীদের তো তিনি পরোয়াই করেন না। গত কয়েক দিন ধরে সরকারের থেকে যা খবর আসছে, তার সিংহ ভাগের উৎস একটিই— ‘সূত্র’! আর এটা তো দেখাই যাচ্ছে যে, নিজের সহকর্মীদেরও কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না মোদী।” তবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও এ নিয়ে ক্রমশই সুর চড়াচ্ছে।