আবারও এল ক্লাসিকো। আবার সেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। তবে এবার প্রতিযােগিতাটা ভিন্ন। তিনদিন আগে কোপা ডেল রের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলােনা। আর এবার স্প্যানিশ লা লিগায় কাতালান ক্লাবটির মুখোমুখি হবে লস ব্লাঙ্কসরা। এবার বার্নাব্যুতে জিতলে লা লিগার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এই ভেন্যুতে টানা চারটি লীগ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়বে বার্সেলোনা।
‘আমরা সম্মানের সঙ্গে হেরেছি’—নিজের মাঠে এল ক্লাসিকোতে, কোপা দেল রে’র সেমিফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর বলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। অন্য কোনো সময় হলে হয়তো এমন মন্তব্যের জন্য ২৪ ঘণ্টার ভেতরই চাকরি হারাতেন রিয়ালের কোচ।
ইদানীং ‘এল ক্লাসিকো’ মানেই বার্সেলোনার বিজয় উল্লাস, কোনো রকমে সমতায় শেষ করলেই সেটা রিয়ালের জন্য স্বস্তির। ঠাসবুনোট ফেব্রুয়ারিতে, কোপা দেল রে’র দুটি সেমিফাইনাল খেলে দম ফেলতে না ফেলতেই হাজির লা লিগার ফিরতি লেগের এল ক্লাসিকো। ৩-০ গোলে হারের তিন দিনের মাথায় ফের বার্সেলোনাকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আতিথ্য দিতে তৈরি রিয়াল। মাসখানেকের ভেতর তৃতীয় ক্লাসিকো। প্রথমটা ১-১ সমতা, দ্বিতীয়টিতে বার্সেলোনার ৩-০ গোলে জয়। এবার কি তাহলে রিয়ালের পালা?
বার্সেলোনার লিওনেল মেসি, লুই সুয়ারেস, উসমান দেম্বেলেদের নিয়ে গড়া ‘এমএসডি’ জবাবে রিয়ালের বেনজিমা, ভিনাসিয়াস, বেলের ত্রয়ীকে বারবারই দেখাচ্ছে ফিকে, বিবর্ণ। মরসুমের মাঝপথে কোচ বদল, রোনাল্ডোর বিকল্প জোগাড় না করেই তাঁকে যেতে দেওয়া এবং সপ্যানিশ তারুণ্যের ওপর ভর করে দল গড়ার যে দর্শন; সবই ফেল করেছে রিয়ালে। সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে, অল্প সময়ের ভেতর জিনেদিন জিদান, ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডোর বিদায়ের পর আবার যখন লোপেতুগিও বরখাস্ত হলেন, সেই ধাক্কা সামলে এখনো যে দলটা লিগ টেবিলের তিনে আছে, সেটাও রিয়াল বলেই। তাই সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেও দলটা যে বার্সেলোনাকে হারিয়েও দিতে পারে এমন সম্ভাবনাও জাগছে, সেটা দলটার নাম রিয়াল মাদ্রিদ বলেই।