নতুন প্রজন্মের ব্যস্ততা সবসময়ই তুঙ্গে। তাই সময় বাঁচাতে কোনো কিছু কেনার জন্য নজর দেয় অনলাইনে। আর অনলাইনে সময় বাঁচানোর পাশাপাশি থাকে কম দামের প্রলোভন। সেখানেই হয়ে যায় যত গন্ডগোল। বালিগঞ্জের হিমাংশু তালুকদার বাজারের থেকে ২ হাজার টাকা দাম কম দেখে গত ৩ জানুয়ারি ই-কর্মাস সাইট থেকে আইফোন ৬ কিনেছিলেন। কিছু সমস্যার জন্য ফোনটি নিয়ে যেতেই সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতেই জানতে পারেন সেটি নকল। এর পরে তিনি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন।
বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র(বিএনসিসিআই) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ‘অনলাইন লেনদেনের সুবিধে-অসুবিধে’ সংক্রান্ত আলোচনায় এমনই তথ্য তুলে ধরলেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে ও বিএনসিসিআই-র প্রেসিডেন্ট সত্যম রায়চৌধুরী-সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। সাধন বলেন, “অনলাইনে জিনিস কেনার প্রবণতা যেমন বাড়ছে, তেমনই প্রতারিত হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। অনলাইন কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে যে সাইট থেকে কেনাকাটা করছেন, তার বিষয়ে আগে খোঁজখবর নিন। অহেতুক কোনও সাইটে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার না করা শ্রেয়। নিয়মিত আপনার নেট ব্যাঙ্কিংয়ের পিন বদল করুন”।
অনলাইনে কেনাকাটার কারণেই বড় দোকানগুলোতে বিক্রি কমছে। সেই প্রসঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন চক্রবর্তী মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘মার্কেট থেকে যে দামে আমরা জিনিস কিনি তার থেকে অনেক কম দামে অনলাইনে জিনিস বিকোচ্ছে। কী ভাবে ই-কর্মাস সাইটের মালিকরা কম দামে জিনিস পাচ্ছেন?’ সাধন জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা শীঘ্রই আলোচনা করবেন।আবার এই ই-কর্মাস সাইটে লেনদেনের সঠিক পদ্ধতি না-জানার ফলে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট হচ্ছে, এমন নাগরিকের সংখ্যাও শহরে কম নয়। গত ছ’মাসে অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারিত হয়েছেন এমন ৩২৮ জন নাগরিক ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন।