কূটনৈতিক ‘রিভার্স সুইং’-এই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যেভাবে ভারতীয় বায়ুসেনা কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তির কথা ঘোষণা করলেন এই প্রাক্তন জোরে বোলার, তাতে এমনটাই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অভিনন্দনের মুক্তির ঘোষণার খবর ভারতে পৌঁছতেই থমকে যায় অনেক কিছুই। বড় পদক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তা স্থগিত হয়, সামরিক কর্তাদের সাংবাদিক সম্মেলন পিছিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত যাঁরা মিডিয়ার মুখোমুখি হন, তাঁর তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী নন।
অভিনন্দনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে খুব একটা সহজ কাজ ছিল? কূটনীতিবিদরা বলছেন, মোটেই নয়। পাক সেনা যখন ভারতের সঙ্গে সামরিক সঙ্ঘাতের মুখে দাঁড়িয়ে, তখন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে খুব সরল পথে নেওয়া যায়নি, তা বোঝার জন্য অবশ্য কূটনীতিক হওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না।
এখন প্রশ্ন, পাকিস্তান কি রাতারাতি শান্তিকামী হয়ে উঠল? আন্তর্জাতিক মহলও মনে করছে শান্তির পথে না হাঁটা ছাড়া আর কোনও রাস্তা পাকিস্তানের সামনে ছিল না। পাশাপাশি খুব কাছ থেকে যারা ইমরানকে দেখেছেন তাঁরা বলছেন, রাজনীতির চেনা ছকে না হেঁটে ক্রিকেটীয় স্টাইলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে নেওয়া এই পদক্ষেপেই পাকিস্তানকে চোরা বালি থেকে বের করে আনলেন ইমরান। তাঁর এই সিদ্ধান্ত সিগনেচার ‘রিভার্স সুইং’-এ সওয়ার হয়েই নেওয়া।