বৃহস্পতিবারই ইসলামাবাদ ঘোষণা করে বন্দী ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে শুক্রবারই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর ফলে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে আপাতত কূটনৈতিক বিরতি চলবে বলেই মনে করেছিল গোটা দেশ। কিন্তু ফের উত্তপ্ত হল পরিস্থিতি। শুক্রবার কুপওয়াড়ায় ফের শুরু হয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গীদের গুলির লড়াই।
ভারতীয় সেনার কাছে খবর ছিল, কুপওয়াড়ায় জঙ্গীরা লুকিয়ে আছে। শুক্রবার সকাল থেকেই কুপওয়াড়া জেলার হান্দওয়াড়া এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে জওয়ানরা। তখনই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গীরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকেই হান্দওয়াড়ার বাবাগুন্দ গ্রামে রুটি তল্লাশি চলছিল। সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও বিশেষ বাহিনী ‘কর্ডন-সার্চ’ অভিযান শুরু করেছিল উত্তর কাশ্মীরের এই এলাকায়। জঙ্গীরা কাছাকাছিই আত্মগোপন করে রয়েছে এমনটাই খবর ছিল তাদের কাছে অভিযানে বাবাগুন্দ গ্রামে দু’জন জঙ্গীকে খতম করেছেন জওয়ানরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, যৌথবাহিনী এলাকায় অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করেছিল, যাতে কোনও জঙ্গী পালিয়ে যেতে না পারে। সেই সময় সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে জঙ্গীরা। রাত ১টা নাগাদ শুরু হয় গুলির লড়াই। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই জঙ্গীর। এক পুলিশ অফিসার জানান, ‘এখনও পর্যন্ত কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ওই দু’জন, তা জানা যায়নি।’ তবে মৃত ২ জঙ্গী লস্করের বলে অনুমান সেনার। জঙ্গীদের খোঁজে এখনও চলছে তল্লাশি।
বৃহস্পতিবারই সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান। ভোর থেকেই কৃষ্ণাঘাঁটি সেক্টরে একের পর এক গোলা ছুঁড়তে থাকে তারা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। এরপর সকাল সাতটা নাগাদ বন্ধ হয় পাক গোলাবর্ষণ। এরপর দুপুরে রাজৌরি সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করে পাক রেঞ্জাররা। তার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা।
বৃহস্পতিবার রাতে বারামুলা জেলার উরি সেক্টরে কামালকোট গ্রামে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ছুটে আসে গুলি। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। পাকিস্তানি সেনার গুলিতে জখম হন এক সাধারণ নাগরিক। আপাতত তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলেই খবর।