বাংলার ক্ষমতায় এসেই শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে নানারকম প্রকল্প নিয়েছেন তিনি। তাঁর আমলেই চেনা শহর হয়ে উঠেছে আরও সুন্দর।এই সৌন্দর্যকে বজায় রাখতে রাজ্যের ছ’টি স্থানে ৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠতে চলা থিম শহর নির্মাণে পিপিপি মডেলে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে বেসরকারি লগ্নিকারীদের।
রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রকে জোরদার করতে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ৩২টি বাংলো-আবাসকে আধুনিকীকরণের পর থ্রি-স্টার পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। নবদ্বীপ-কোচবিহার এবং বিষ্ণুপুরকে ‘হেরিটেজ’ শহরের তকমা দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি, রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের চা-বাগানে এবং উৎসবের মরসুমে দুর্গাপূজার সময় আরও বেশী করে বিদেশী পর্যটক আকৃষ্ট করতে বিশেষ পদক্ষেপের কথা ভাবছে প্রশাসন। পরিকল্পনামাফিক পরিকাঠামো উন্নয়ন করাই এই মুহূর্তে পর্যটনক্ষেত্র উন্নয়নে প্রধান লক্ষ্য। যে কাজে সফল হতে পুরো শক্তিতে উদ্যোগী রয়েছে রাজ্য।
বণিকসভা সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই উদ্যোগগুলির কথা জানিয়েছেন হিডকো চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স দফতরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। এর পাশাপাশি নৈহাটি, ফলতা এবং সোনারপুরে প্রস্তাবিত হার্ডওয়্যার পার্কগুলি গড়ে ওঠা শেষ হলে দেশের টেলিকম এবং তথ্যপ্রযুক্তি মানচিত্রে রাজ্যের ভূমিকা অনেকাংশে বাড়বে।