অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দর শহর বিশাখাপত্তনমে শুক্রবার সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে অন্ধ্রপ্রদেশে খালি হাতে যেতে মোদীর লজ্জা করা উচিৎ, বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু।
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদার দাবি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি লিখেছেন। মোদীকে লেখা ওই খোলা চিঠিতে চন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, ‘২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা আইন অনুসারে মোদি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি বাস্তবে পূরণ করতে পারেননি। শুক্রবার রাজ্যে এসে পাঁচ কোটি মানুষের সামনে নিজের ব্যর্থতা বলতে পারবেন তো?’
মোদীর জনসভার আগে অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক জায়গা ছেয়ে গিয়েছে কালো হোর্ডিংয়ে। মোদীর সফরের বিরোধিতা করেই ওই কালো হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছে। যার মূল বক্তব্যই হল, ‘অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা’ দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, তা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উচিত অন্ধ্রপ্রদেশের সেই দাবি আগে পূরণ করা। তারপর এ রাজ্যে আসা।
চন্দ্রবাবু নায়ডু তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনি পাঁচ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমি রিঅর্গানাইজেশন অ্যাক্টের জন্য নিজে ২৯ বার দিল্লী গিয়ে আপনার কাছে আবেদন রেখেছি। কিন্তু লাভ হল না কিছুই। আপনার এই প্রতারণা এবং অবিচারের জবাব অন্ধ্রের মানুষ অবশ্যই দেবে’। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, ‘বিশাখাপত্তনমে মোদির সভার আগে কালো পতাকা এবং কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। কারণ অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত মোদির এরাজ্যে আসা উচিত ছিল না’। একইসঙ্গে বিশাখাপত্তনম রেলওয়ে জোনের ঘোষণাও কেন্দ্রের একটি ভাঁওতাবাজি বলে মন্তব্য করেন চন্দ্রবাবু। তাঁর কথায়, ‘উড়িষ্যার মালবাহী ট্রেন থেকে প্রাপ্ত টাকা পাচ্ছে। আর অন্ধ্রপ্রদেশ পাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন বাবদ টাকা। এর ফলে অন্ধ্রের সাত হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। এমনকি অন্ধ্রের তুলনায় ওড়িশায় বেশি কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে এ রাজ্যের’।
ওই চিঠিতেই চন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, ‘খালি হাতে রাজ্যে আসতে আপনার লজ্জা করছে না মোদিজি’। তিনি অন্ধ্রের পাঁচ কোটি বাসিন্দাদের হয়ে নরেন্দ্র মোদীর কাছে সব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসছেন বলে চন্দ্রবাবু নাইডু কালো শার্ট পরে বিরোধিতা করবেন। তিনি জানিয়েছেন, কালো শার্ট ও পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে।
