দেশ যখন যুদ্ধের আবহে তখন ভোটপ্রচারে ব্যস্ত বিজেপি। এমন উত্তেজিত পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বার্তা দেওয়ার বদলে বুথ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবার সকালে সারা দেশের ১৫০০০টি জায়গার এক কোটির বেশি দলীয় কর্মী, যাঁরা বিজেপির বুথকর্মী হয়ে কাজ করবেন, তাঁদেরকে ভিডিও কনফারেন্সেরের মাধ্যমে নিজের এবং দলের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির তরফে এই ভিডিও কনফারেন্সকে ‘দেশের বৃহত্তম ভিডিও কনফারেন্স’ বলে দাবি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণে বেজায় চটেছেন বিরোধীরা। এমনকি নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
কংগ্রেস নেতা তথা দলীয় মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘যখন সারা দেশ তার নেতার দিকে নেতৃত্বের জন্য তাকিয়ে আছে, তখন প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বার্তা দেওয়ার বদলে তাঁর বুথকর্মীদের বার্তা দেওয়া পছন্দ করেছেন। যেখানে দেশের সুরক্ষা মজবুত করতে হবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বুথ মজবুত করছেন। তিনি মনে করেন দলই দেশ। বুধবার যখন উইং কমান্ডারকে হেপাজতে নেয় পাকিস্তান, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। গাজিপুরে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সম্পূর্ণ গুরুত্বটাই বিজেপির কাছে হারিয়ে গিয়েছে।’ এদিকে, নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীকে প্রশ্ন করেন, ‘এখন কি এটা করার সময়’, আবার অনেকে লেখেন, ‘লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের’।
সব মিলিয়ে উত্তেজিত পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মোদীর ভিডিও কনফারেন্স মোটেও ভালো চোখে দেখছে না বিরোধী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।