দুর্নীতির কারণে শাস্তি পাননি। তদন্তে আইসিসিকে যথেষ্ট সহযোগিতা না করাই তাঁর অপরাধ। এ জন্য সনৎ জয়সূর্যকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে কোনো সাহায্য করেননি, এমন অভিযোগ রয়েছে জয়সূর্যর বিপক্ষে। দেশটি ক্রিকেট ইতিহাসে তো বটেই, ওয়ানডে ইতিহাসেই অন্যতম আক্রমণাত্মক এই ব্যাটসম্যানের অতীত জীবন কিন্তু বেশ বিতর্কিত। ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া জয়সূর্য এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন বেশ কয়েকবার।
ছাত্রদের মারার অভিযোগ
২০১৪ সালে জয়সূর্যর বিপক্ষে এই অভিযোগ তুলেছিল শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দল জনতা ভিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি)। মাতারায় রুহুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গায়ে হাত তুলেছিল এক দল দুষ্কৃতকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি উন্নয়ন প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চেয়েছিল তখনকার ক্ষমতাসীন সরকার। ছাত্ররা এর বিরোধিতা করেছিল। তখন সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছিল, দুষ্কৃতকারীরা তাঁর উসকানিতেই ছাত্রদের গায়ে হাত তুলেছে। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়ক অবশ্য তা অস্বীকার করে বলেছিলেন, ঘটনার সময় তিনি সেখানে ‘ছিলেন না’।
এক টুর্নামেন্টে সই করেছিলেন দুই দলে
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) লিগ থেকে। অভিযোগ, জয়সূর্য টুর্নামেন্টের এক মরসুমে দুটি দলে সই করেছেন। দল দুটি ছিল কালিঘাট ক্রিকেট ক্লাব ও মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব। শেষ পর্যন্ত দুটি দলকেই খেলোয়াড় তালিকা থেকে জয়সূর্যর নাম বাদ দিতে হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় টুর্নামেন্টে বিদেশি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সিএবি।
সুপারি চোরাচালানির অভিযোগ
বোমাটা ফাটিয়েছিল ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্থান টাইমস’। জয়সূর্য এবং আরও দুই ক্রিকেটার ভারতে পচা সুপারি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। গত বছর নভেম্বরে জয়সূর্য এই কাজ করেন জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম। নাগপুরে রাজস্ব কর্মকর্তারা জয়সূর্যর চোরাচালান করা লাখ লাখ টাকার সুপারি হাতেনাতে আটকও করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে জয়সূর্যর নাম। এরপর তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিল ভারতীয় প্রশাসন, মুম্বাইয়ে এসে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য। শ্রীলঙ্কান সরকারকেও ভারতের তরফ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে বাজে মন্তব্য
গত বছর নিদাহাস ট্রফির গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচটি ছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। উত্তেজনার সেই ম্যাচের শেষ দিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ড্রেসিং রুমের কাচ ভাঙার অভিযোগ ওঠে সাকিবদের বিপক্ষে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ দলকে ‘তৃতীয় শ্রেণির দল’ বলে টুইট করেছিলেন জয়সূর্য।