মাঝ আকাশে তখন তুমুল লড়াই চলছে। ভারতের অন্য বিমান তখন অভিনন্দনকে সতর্ক করেছিল, তবে এফ-১৬কে কব্জা করে নিয়েছিলেন অভিনন্দন। আর-৭৩ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রও ছোঁড়েন। যার ফলে পাকিস্তানি এফ-১৬ আছড়ে পড়ে মাটিতে। তবে একইসঙ্গে অভিনন্দনের বিমানের ডানায় ধাক্কা লাগে। যার ফলে তাঁকে বাধ্য হয়ে নামতে হয় ও তিনি গিয়ে পড়েন পাক অধীকৃত কাশ্মীর অংশে। সেখানেই পাক সেনা তাঁকে হেফাজতে নেয়। ভারতের চাপের মুখে নতিস্বীকার করে আগামীকাল পাকিস্তান অভিনন্দনকে ভারতে প্রত্যার্পণ করছে৷ পাকিস্তানের চাপের মুখেও ভেঙে পড়েননি অভিনন্দন বরং বাড়তি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন আই আম নট সাপোসড টু টেল ইউ৷ অভিনন্দন বর্তমানের বাবাও প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসার। স্বাভাবিক কারণেই তিনি বলছেন, ”ছেলের জন্য গর্ব হচ্ছে”৷ তাঁর কথায়, ”অভি বেঁচে আছে, সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলছে। ও একজন সত্যিই সাহসী সেনা”৷
অভিনন্দনের বাবাও অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার। অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শল আশাবাদী যে তাঁর ছেলে নিরাপদে এবং সুরক্ষিতভাবেই ফিরে আসবেন। পাকিস্তান সংযত আচরণ দেখাবে বলেই আশাবাদী তিনি।
গতকাল ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আর্মি অফিসারদের চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন ভারতমাতার এই বীর সন্তান৷ আজ পাকিস্তান অভিনন্দনকে নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইলেও ভারতের তরফ থেকে তা পত্রপাঠ নাকচ করা হয় এবং জানানো হয় কোনরকম শর্ত ছাড়াই অভিনন্দনকে সুস্থ ভাবে মুক্তি দিতে হবে৷ স্নায়ুর যুদ্ধে জয় হয় ভারতেরই৷ আগামীকাল ভারতে ফিরছেন বীর যোদ্ধা অভিনন্দন৷