গত ১৪ তারিখ পুলওয়ামাতে পাক-মদত পুষ্ট জইশ জঙ্গীর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৪৪ জন জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভের আগুনে ফুটছিল সকলে। ঠিক ১২ দিনের মাথায় গতকাল বদলা নিল ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটের জঙ্গীঘাটিগুলি বোমাবর্ষণে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। গতকাল রাতে এবং আজ সকালেও পাকিস্তান আকাশপথে হামলার চেষ্টা করে যদিও ভারত সেই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেয় তারপর থেকে উত্তপ্ত দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সীমান্তে দেখা দেয় উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান সুবিধের নয় দেখে পাকিস্তান জানালো তারা যুদ্ধ চায় না। যদিও কাল ইমরান খান ফের ভারত আক্রমণের হুমকি দিয়েছিলেন।
তুমুল উত্তাপের মুখে আচমকা শান্তির কথা বলতে শুরু করল পাকিস্তান। পাক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র (ডিজি, আইএসপিআর) মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানালেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। ভারতকে বুঝতে হবে যে, যুদ্ধ হল নীতিগত ব্যর্থতা— বার্তা মেজর জেনারেল গফুরের। বুধবার সকালে কোনও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে পাক বায়ুসেনা, বোমাও ফেলেছে ভারতীয় ভূখণ্ডে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তার পরই ইসলামাবাদ বলল, পাকিস্তান যুদ্ধ চায় না।
পাকিস্তানের মেজর জেনারেল গফুরের দাবি, বুধবার সকালে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি যুদ্ধবিমান। কিন্তু গুলি করে সেগুলি নামানো হয়। যার মধ্যে একটি গিয়ে পড়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ভারতের অন্তর্গত কাশ্মীরে গিয়ে পড়ে আর একটি। ভারতীয় সেনার তরফে আগেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে পাক সেনা মুখপাত্রের দাবি, দুই ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছেন তাঁরা। যার মধ্যে একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। অন্য জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও যথাযথ তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজ সরকারি বিবৃতি জারির পর ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তিনি জানান, ‘‘গতকাল নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আত্মরক্ষার তাগিদে তার জবাব দিতেই হত আমাদের। কিন্তু আমরা শান্তি চাই।