গতকালের প্রত্যাঘাতের পর আজ পাল্টা জবাব দেবার চেষ্টায় ভারতের বায়ুসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ বিমান। ঠিক তারপরেই ভারত বিপদের আশঙ্কা করে বেশ কয়েকটি বিমান বন্দরে অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। বিকালে আবার ন’টি বিমান বন্দর ফের খুলে দেওয়া হল।
পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার ঠিক বারো দিনের মাথায়, মঙ্গলবার পাল্টা দিয়েছিল ভারত। তবে গতকাল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর আক্রমণের ২৪ ঘণ্টা পরেই, আজ ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করায় পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬। উড়িয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা।
মঙ্গলবার ভোররাতে জইশ ই মহম্মদের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়ার বদলা নিতে বুধবার মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। তাদের বিমান ভারতে ঢুকে পড়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় লেহ, জম্মু, শ্রীনগর, সিমলা, ধর্মশালা, কুলু, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাতিন্দা, পঠানকোট, চণ্ডীগড়, অমৃতসর ও দেরাদুন বিমান বন্দর। কিন্তু বিকালে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রধান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, “ন’টি বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে”।
বুধবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা সেক্টর দিয়ে একটি পাকিস্তানি এফ ১৬ বিমান ঢুকে পড়ে। ভারতের বায়ুসেনা গুলি করে বিমানটিকে নামায়। অন্যদিকে কিন্তু পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের দু’টি বিমান গুলি করে নামিয়েছে। একজন পাইলটকেও বন্দি করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, “পাকিস্তান বলেছে, আমাদের এক পাইলট তাদের কব্জায় আছেন। আমরা এই দাবির সত্যাসত্য বিচার করছি”।
এর আগে মুম্বইয়ের উত্তরে এয়ার স্পেস দিয়ে যে বিমানগুলি ওড়ার কথা ছিল, সেগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হয় পশ্চিম এশিয়া দিকে। অমৃতসর বিমান বন্দরের ডিরেক্টর এ পি আচার্য বলেন, ‘অপারেশনাল রিজনে’ এই বিমান বন্দর বন্ধ রাখা হচ্ছে। কোনও অসামরিক বিমান এখানে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এখান থেকে উড়ছেও না কোনও বিমান।
অন্যদিকে পাকিস্তানও বেশ কয়েকটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়। তার মধ্যে আছে লাহৌর, মুলতান, ফয়সলাবাদ, সিয়ালকোট এবং ইসলামাবাদ এয়ারপোর্ট।