মঙ্গলবার পুরভবনে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে বলা হয়, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি জমা জল ও জঞ্জালের কারণে মশার উপদ্রব বাড়ে তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দেবে কলকাতা পুরসভা। এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের সেচ ও পূর্ত দফতর ছাড়াও রেল, বন্দর এবং কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর (সিপিডব্লিউডি)-এর প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।
নবান্নে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখানে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, মশাবাহিত যেকোনো রোগের প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সে নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ত সচিব সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে গত বছর শহরের যে ২০টি ওয়ার্ড পুর প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছিল, এ বার সেই ওয়ার্ডগুলিকেই বেশি নজরে রেখেছে পুরসভা। এই বৈঠকে সেই সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র তাঁর এলাকায় থাকা মণি খাল, বেগোর খাল এবং সিপিটি ক্যানালের জলে ময়লা ও প্লাস্টিক পড়ে থাকার কথা জানান। যার জেরে জলের গতি রুদ্ধ হয়ে মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে বলে জানান তিনি। মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় জানান, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ স্টেশন চত্বর, রেললাইন সংলগ্ন পথ জঞ্জালে ভরে থাকে। তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্যকিশোর রাউত বলেন, ‘‘উল্টোডাঙায় বেশ কিছু নির্মাণস্থলে জল ও জঞ্জাল জমে থাকায় মশা জন্মায়।’’ বৈঠকে মেয়র নির্দেশ দেন, ‘‘সব অভিযোগ লিখে রাখুন। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “মশাবাহিত রোগ দমনে নতুন আইন ৪৯৬-এ তৈরি করেছে পুরসভা। তাতে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে”। এই বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সংস্থা রয়েছে, যেগুলিকে সতর্ক করা হলেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মশার আঁতুড়ঘর রোধে যদি কোনো ব্যবশা না নেওয়া হয় তবে কলকাতা পুর আইনের ৪৯৬এ ধারাইয় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কেস করা হবে। প্রয়োজনে আদালতে টেনে আনা হতে পারে”।