গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িতে হওয়া জঙ্গী হামলায় শহীদ হয়েছেন ৪৪ জওয়ান। সেই ঘটনার ঠিক ১২ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের একাধিক লঞ্চপ্যাড ও কন্ট্রোল রুম। যাতে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের শ্যালক ইউসুফ আজহার-সহ তিনশো জঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এতেও ক্ষোভ মেটেনি পুলওয়ামার শহীদ বাবলু সাঁতরার পরিবারের। তাঁদের প্রশ্ন, জঙ্গী মারলেও, জওয়ানদের সুরক্ষা কোথায়?
পুলওয়ামা হামলায় শহীদ হয়েছেন তাঁর স্বামী। কিন্তু বায়ুসেনার এই প্রত্যাঘাতের খবরে খুব একটা খুশি হতে পারেননি বাবলু সাঁতরার স্ত্রী। সাংবাদিকদের কাছে শহীদ জওয়ান বাবলুর স্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন জওয়ানদের সুরক্ষা নিয়ে। জঙ্গী নিকেশের থেকেও তাঁর কাছে বড় বিষয় দেশের বিভিন্ন সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের সুরক্ষা। তিনি বলেছেন, ‘পুলওয়ামা হামলার বদলা নিয়েছে দেশ। সরকারের যা ঠিক মনে হয়েছে তাই করেছে। সরকার যদি মনে করে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেবে তাহলে সেটাই ঠিক। কিন্তু তাতে জওয়ানদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয় না।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন সীমান্ত যাঁরা পাহারা দিচ্ছেন, তাঁরা যে কারোর ছেলে, কারোর ভাই, কারোর স্বামী, কারোর বাবা সেটা ভুলে যায় সরকার। জওয়ানরাও চায় কাজের শেষে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে। তাই সরকারের উচিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্তব্যরত জওয়ানদের নিরাপত্তা আগে সুনিশ্চিত করা।’ আর যুদ্ধ বাঁধলে আরও মায়ের কোল খালি হবে বলেই মনে করেন তিনি। শহীদের স্ত্রী যে আসলে পরোক্ষভাবে কেন্দ্রের মোদী সরকারেরই সমালোচনা করলেন, সে কথা বলাই বাহুল্য।