বিশ্বের প্রথম দশটি শক্তিশালী বায়ুসেনা বাহিনীর তালিকায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বালাকোটে সেই শক্তিই প্রদর্শন করেছে ভারত। মঙ্গলবার ১২টি মিরাজ ২০০০ মুহূর্তে উড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে। মিরাজের পাল্টা হিসাবে মার্কিন প্রযুক্তিকে তৈরি এফ ১৬ বিমান নিয়ে নওশেরায় হানা দেয় পাকিস্তান।
কিন্তু এই মুহূর্তে আকাশ দখলের লড়াইতে এগিয়ে কে রয়েছে? মিরাজ ২০০০ নাকি এফ-১৬?
গতকাল ভোরবেলা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্দ্বিধায় ঢুকে পড়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি অত্যাধুনিক মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। ১৯৮৫ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত এই যুদ্ধবিমান। এখনও পর্যন্ত একেই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বলে মান্যতা দেওয়া হয় বায়ুসেনার তরফে। বিমানটি ফ্রান্সের বায়ুসেনার জন্য তৈরি করে দাসাল্ট নামের অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা। তারপর দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ভারতের হাতে আসে বিমানটি। এই সংস্থাটির কাছ থেকেই ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমানও কিনেছে ভারত। মূলত বোমারু বিমান হিসেবেই কাজ করে মিরাজ-২০০০। শত্রু দেশের রাডারকে ফাঁকি দিয়ে তাদের বায়ুসীমায় প্রবেশ করে বোমাবর্ষণে, এর জুড়ি মেলা ভার। এপর্যন্ত প্রায় ৬০০টি মিরাজ বিশ্বের ন’টি দেশের বায়ুসেনার হাতে রয়েছে। মিরাজ বিশ্বের কয়েকটি বৃহদাকৃতি যুদ্ধবিমানের অন্যতম। প্রত্যেকটি বিমান বহনক্ষমতা অনেক বেশি ও ‘টপ অফ দ্য লাইন আর্টিলারি’ বহন করতে পারে। এই বিমানগুলির সর্বোচ্চ গতি ২,০০০ কিমি/ঘণ্টা। মিরাজের কম্ব্যাট ওয়েট: ২১,০০০ পাউন্ড এবং এর আভ্যন্তরীণ অস্ত্র: ২.৩৩ মিমি বন্দুক।
এই মুহূর্তে ভারতের হাতে রয়েছে প্রায় ৪০টি মিরাজ যুদ্ধবিমান। সাতের দশকে তৈরি হলেও সদ্য আপগ্রেড করা হয়েছে যুদ্ধবিমানগুলিকে। ফলে আরও ঘাতক হয়ে উঠেছে মিরাজ। প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম ওজনের অস্ত্রশস্ত্র ও বোমা নিয়ে উড়তে সক্ষম এই বিমানটি। শত্রুর জঙ্গিবিমানকে মাঝ আকাশে ধবংস করতে এতে রয়েছে ‘অটো ক্যানন’ বা কামান। পাশাপাশি রকেট থেকে শুরু করে লেজার গাইডেড বম্ব বহন করতে পারে বিমানটি।
অন্যদিকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সিঙ্গল সুপারসনিক এফ-১৬ পাকিস্তানকে বিক্রি করেছে আমেরিকা। যে কোনও আবহাওয়ায় এটি উড়তে এবং আঘাত হানতে সক্ষম। ১৯৯৪ সাল নাগাদ বিল ক্লিন্টন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি হয় এফ-১৬ সংক্রান্ত। অনেক বিতর্কও ছিল এ নিয়ে। সেই সময়ের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ২০১৬ সালে পাকিস্তানকে বিক্রি করছে। এটি তৈরি করে লকহিড মার্টিন।
মূলত অর্থ সাশ্রয়ী হালকা বহুমুখী বিমান হিসাবেই তৈরি করা হয়েছে এফ ১৬ বিমান। আরেক মার্কিন ব্যয়বহুল বিমান এফ ১৫কে সাহায্য করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল আমেরিকার তরফে। ‘এয়ার টু এয়ার’-এ এফ ১৬ অত্যধিক সফল। কিন্তু মিরাজ ‘এয়ার টু এয়ার’, ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড’ দু’টি ক্ষেত্রেই সফল। তাই বৈশিষ্ট্যের বিচারে বলা যায়, সবরকম ভাবেই এগিয়ে ভারতের মিরাজ