দুর্নীতির দায়ে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সনৎ জয়সূর্যকে ক্রিকেটের সব রকমের কর্মকাণ্ড থেকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করল আইসিসি। মঙ্গলবার আইসিসি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রাক্তন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক দুর্নীতির তদন্তে সাহায্য করেননি। শুধু তা-ই নয়, আইসিসি-র অভিযোগ দুর্নীতির তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্য জয়সূর্য লুকিয়েছেন। প্রমাণ লোপাটও করেছেন, যা আইসিসি-র কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী দণ্ডনীয়। তার মাশুল দিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য জয়সূর্য।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, জয়সূর্য আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার দুটি বিধি ভঙ্গ করার কারণে এমন শাস্তি পেয়েছেন। ১১০ টি টেস্ট ও ৪৪৫ টি ওয়ানডে খেলা জয়সূর্যর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। আইসিসি সেই সময়ে তদন্তের স্বার্থে জয়সূর্যর কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চেয়েছিল। কিন্তু সেগুলোতে ব্যক্তিগত অনেক বিষয় রয়েছে জানিয়ে আইসিসিকে কিছুই দেননি জয়সূর্য। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এখন তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। মার্শাল বলেন, ‘আইসিসির তদন্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা এই শাস্তি থেকেই স্পষ্ট। খেলাটিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমাদের যে প্রচেষ্টা, তাতে কারওর সহযোগিতা আদায় করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এক অস্ত্র।’
ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে এখন পুরোদমে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেছেন জয়সূর্য। লঙ্কান সংসদ সদস্য তো হয়েছেনই, একবার ডেপুটি মন্ত্রিত্বও পেয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বও পালন করেছেন। কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটকে (এসিইউ) সাহায্য না করে বরং তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন বলেও অভিযোগ আছে তার নামে। যার ফলাফল এই শাস্তি। এই দুই বছর ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি।
এই অপরাধে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ার কথা পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু জয়সূর্যর ‘অতীতের ভালো আচরণ’-এর কথা মাথায় রেখে শাস্তি কমিয়ে দুই বছর করা হয়।