বানতলাকে বিশ্বের সেরা চর্মনগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে সরকার বানতলা চর্মনগরীতে ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। মঙ্গলবার বানতলা চর্মনগরীতে ওই দুই শহরের ১৩টি এবং রাজ্যের ১২টি সংস্থার হাতে জমি তুলে দিল সরকার। শিল্প মহলের দাবি, ২৫টি সংস্থায় ১,০০০ কোটি টাকার বেশি লগ্নি হবে।
বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে কানপুর, চেন্নাই ও কলকাতার তিনটি বড় ট্যানারিকে বানতলায় জমি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন আরও ২৫টি বড় সংস্থাকে জমির ‘অফার লেটার’ দেন অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। উপস্থিত ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলামন্ত্রী জাভেদ খান, শিল্প সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থা এমএল ডালমিয়ার পক্ষ থেকে বৈশালী ডালমিয়া প্রমুখ।
কানপুর, চেন্নাই ও কলকাতার ওই সংস্থাগুলি বহু দিন ধরেই বানতলায় বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছিল। এক হাজার আবেদনের ভিত্তিতে ৩০০টি সংস্থাকে বেছে নেওয়া হয়। তার মধ্যে থেকে ২৮টি বড়, ৯৭টি মাঝারি এবং ৬২টি ছোট সংস্থাকে ট্যানারির জন্য জমি দেওয়া হবে। এখন চর্মনগরীর বার্ষিক ব্যবসার পরিমাণ সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এবার এই পরিমাণ ২৭ হাজার কোটিতে পৌঁছোবে। কর্মসংস্থান হবে ৫ লক্ষ।
সূত্রের খবর, বানতলায় ৭০ একরে ট্যানারির পাশাপাশি ১০০ একর জমি দেওয়া হবে চর্মজাত পণ্য নির্মাতাদের। ৬০ একরে হবে জুতোর পার্ক। সেখানকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি রাজারহাটে গেলে আরও প্রায় ১৩০ একর জমি মিলবে। এখন বানতলায় ২০২ একর জমিতে ৩৩২টি কারখানা ও ৪০টি চর্মজাত পণ্যের সংস্থা রয়েছে। অমিতবাবুর দাবি, ব্যবসা হয় ১৩,৫০০ কোটি টাকার। কর্মী প্রায় ২.৫ লক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পমহল জানিয়েছে, লগ্নি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কয়েক বছরে ব্যবসা ছোঁবে প্রায় ২৭ হাজার কোটি।
এদিন সরকারিভাবে লেদার কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানে শিল্পপতি তথা ট্যানারি মালিকদের হাতে জমি তুলে দিলেন মন্ত্রী ড. অমিত মিত্র। তিনি এদিন বলেন, ‘বিশ্বের সব থেকে বড় লেদার সেক্টর হবে কলকাতা।’ অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, এই চর্মনগরীতে ৮টি সিইটিপি বা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। নোংরা জল শোধনের পুরনো ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট মডিউল ১ থেকে ৪ সংস্কারের কাজ চলছে।