পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে ভারতীয় সেনা ভরসা রেখেছিল যুদ্ধবিমান মিরাজ-এর ওপর।মিরাজের ডানাতে ভর করেই আজ এল সাফল্য। কারগিল যুদ্ধ থেকে আজ অবধি বায়ুসেনার অন্যতম ভরসার জায়গা মিরাজ-ই।
তবে মিরাজের পরে আর কেউ যদি বায়ুসেনার ভরসার স্থল হয়ে থাকে তা হল হারকিউলিস যুদ্ধবিমান। বায়ুসেনার ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’-এর অন্যতম অস্ত্র সুপার হারকিউলিস যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম বিশ্বস্ত হাতিয়ার—‘সি ১৩০ জে সুপার হারকিউলিস’-কেও পরবর্তীতে ব্যবহার করা হতে পারে যে কোনও অভিযানের ক্ষেত্রে।
সি১৩০জে হারকিউলিস যুদ্ধবিমান আমেরিকাতে তৈরি। এটি চারটি ইঞ্জিন যুক্ত সামরিক পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রে এই হারকিউলিস বিমানের উৎপাদনই সর্বচ্চ। সম্প্রতি রাজস্থানের পোখরানে বায়ু সেনা এই যুদ্ধবিমানের শক্তি প্রদর্শন করেছিল। অল্প সময়ে দুর্গম এলাকায় সেনা পৌঁছে দিতে এর জুড়ি মেলা ভার।
হারকিউলিসের নির্মাতা মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিন। এটি ১৯ টন পর্যন্ত ওজন বইতে পারে। আকৃতিতে বেস বড় হলেও ছোট রানওয়েতে ওঠানামা করতেও সক্ষম এটি। হারকিউলিস শত্রুপক্ষের নিশানার মধ্যেও উড়তে সক্ষম। সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে পারে। সুপার হারকিউলিসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩৬২ কিলোমিটার, দুর্গম এলাকায় প্যারাট্রুপার বাহিনীকে পৌঁছে দিতে সক্ষম, কাজে লাগে ত্রাণ ও উদ্ধারেও।
স্পেশ্যাল ফোর্সের বিমান হিসেবেই সুপার হারকিউলিস পরিচিত। ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’-এর অন্যতম অস্ত্র এই হারকিউলিস যুদ্ধবিমান। সেনা পরিভাষায়, স্ট্রাইক কোরের অর্থ আক্রমণাত্মক বাহিনী। তারা সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকে না। তাদের দায়িত্ব শত্রু দেশে আক্রমণ চালিয়ে কোনও এলাকা দখল করে নেওয়া। পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনের কথা মাথায় রেখে বায়ুসেনার শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে একাধিক বিমানঘাঁটি। বায়ুসেনা জানিয়েছে, সেই সমর কৌশলের নিরিখে আগামী দিনে এই সুপার হারকিউলিসই হতে চলেছে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।