রাষ্ট্র সংঘের সব শান্তি শর্ত মেনে এই হামলা। সভ্য দেশে, পরমাণু শক্তিধর দেশে এভাবেই শত্রুকে জবাব দেওয়া হয়। ইজরায়েল, আমেরিকা, রাশিয়া এভাবেই দেয়। আর ছোটলোক, জাহিল, জোকার দেশ গুলো ভেবে পায় না হামলার ঘটনা স্বীকার করবে না নিন্দা করবে। বলে রাখি, একটা ধন্যবাদ কিন্তু রাফালে বিমান যারা বানায় সেই ডসাল্ট এর ও প্রাপ্য। মিরাজ তাদেরই বানানো এক ভয়ংকর সুন্দর যুদ্ধ বিমান। আমাদের বেচা হয়েছিল রাফালের মতো তবে কম দামে।
না এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক মোটেও নয়। এটি যুদ্ধের ও সূচনা নয়। এটা কূটনৈতিক ভাষায় বলে Preemptive Strike মানে কাউকে বছরের পর বছর একটি নির্দিষ্ট জিনিস নিয়ে অভিযোগ করে গেলে ও, তথ্য দস্তাবেজ দিয়ে গেলে ও, মুখের ফ্যানা উঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করার পরে ও যখন কোন ফল হয়না, দস্তাবেজের ক্ষুদ্র একটি অনুচ্ছেদ মতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মানে পাশের বাড়ির বদ লম্পট ছেলের ঘরে ঢুকে পিটিয়ে আসার মতো। মজার ব্যাপার এখানে পাকিস্তান খেতে ও পারছে না, গিলতে ও পারছে না ঘটনাটা৷
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের এই অনুপ্রবেশের উল্লেখ করলেই প্রশ্ন উঠবে কাশ্মীর আসলে কার? নিজের জমিতেই ভারতীয় বিমান উড়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘে সাওয়াল করবে ভারত। এ ছাড়াও আছে আত্মরক্ষার্থে হামলার যুক্তি। আর শেষে ক্ষতির হিসেব। পাকিস্তান কোনবারই মৃতদেহ দাবী করতে পারেনি। দেখাতে ও পারেনি কোন মৃতদেহ। কারণ প্রত্যেকটি মৃতদেহ শনাক্ত হলেই দেখা যাবে তাদের সন্ত্রাসী যোগ।
এটা ঘটনা যে মাসুদ আজহারের আত্মীয় এবং কান্দাহার বিমান ছিনতাই এর মূল পান্ডা ইউসুফ আজহার নিহত হয়েছে এই বিমান হানাতে। এটা ও ঘটনা যে জৈশ এর সর্বোচ্চ নেতাদের ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গেছে ওই ডেরা থেকে। এটাও সত্যি যে জৈশ নিজে স্বীকার করেছে তাদের ক্যাম্পে বোমা মারা হয়েছে।
এটাও ঘটনা যে এবার ভারতের সুরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সব চেয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মাথায় রাখবেন, মাসুদ আজহারের কাছে হাফিজ সঈদ শিশু। সংসদ হামলা, কাস্মীর বিধানসভা হামলা, একটা গোটা বিমান তুলে আফগানিস্থানে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে এরা সুনিপুণ ভাবে৷ এটা ভাবলে বোকামি হবে যে এরা পাল্টা হামলা করবে না।
সুতরাং প্রতিরাতে মালা জপতে জপতে ঘুমোতে যান আর সকালে উঠে একটা না একটা চমকের জন্য অপেক্ষা করুন। আজ আমাদের দিন ছিল। ঘাতের শেষে প্রতিঘাতই আসে। সাথে আসে শোক বা নতুন কোন প্রতিশোধের কারণ। আমরা সতর্ক থাকি কোন বেওয়ারিশ সুটকেস থেকে, সন্দেহজনক মানুষের থেকে।
পুলওয়ামা হামলার ১২দিনের মাথায় বদলা সম্পন্ন হলো৷ তেরোদিনের সকালে ঘাট কাজ, শ্রাদ্ধ ইত্যাদি করবে মৃত জওয়ানের পরিবার। আত্মার শান্তি কামনা করে।
আমরা চেষ্টা করবো এবার সভ্য দেশের মতো আমাদের রোজনামচার সমস্যা গুলো নিয়ে ফের কথা বলতে। ব্যাংক থেকে টাকা মেরে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া, বিমান কেনার দুর্নীতি নিয়ে, বেকারত্ব নিয়ে, কৃষক মৃত্যু নিয়ে, ফসলের দাম না পাওয়া নিয়ে, আধাসামরিক বাহিনীকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে।
Preemptive Strike কে নির্বাচন বৈতরণী হিসেবে অসভ্য লোকেরা ব্যবহার করে। আমার বিশ্বাস আমরা ছোটলোকের মতো সেটা করবো না। কেউ করলে তার প্রতিবাদ করবো। জয় হিন্দ।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত