মধ্য বসন্তেই বর্ষার ঘনঘটা। রাজ্যে এখনই কাটছে না দুর্যোগ। আগামী ৭২ ঘণ্টা থাকবে এই আবহাওয়া। ঘণ্টায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে এই দুর্যোগ চলবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও শুরু হবে বৃষ্টি। আজ থকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। সকালের দিকে ঝড়–বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হবে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে পূবালি হাওয়া মিশে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। গতকাল ভোরে মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে। ভোর ৩.৫৫ মিনিটে ঘণ্টায় ৪৪ কিলোমিটার বেগে প্রথম কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে। এরপর ভোর ৪.২৫ মিনিটে ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার বেগে দ্বিতীয় কালবৈশাখী ধেয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালেও কলকাতায় আকাশের মুখভার। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ তো বটেই, বুধবারও সূর্যের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আকাশের মেঘলাই থাকবে। কলকাতায় ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে বাতাসও বইতে পারে। অর্থাৎ কালবৈশাখী হতে পারে আবারও।
এদিকে সোমবার রাতে বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূমের বিস্তীর্ণ অংশে। মুষলধারায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে কার্যত লণ্ডভণ্ড অবস্থা নদিয়া জেলার। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। জলও জমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজ পড়ে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সোমবার ভোরে কালবৈশাখীর পর থেকে মেঘলা আকাশ কলকাতায়ও। নেমেছে তাপমাত্রার পারদ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানা গেছে, উত্তর ভারত থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করেছে তুলেছে পূবালী বাতাস। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এ রাজ্যে যে পথে ঢুকেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, তার ঠিক উলটো পথে বইছে পূবালী বাতাস। এই দু’ধরনের বাতাসের সংঘর্ষে সোমবার ভোরে কালবৈশাখী আছড়ে পড়েছিল কলকাতা। আর আগামী ৭২ ঘন্টায় সারা বাংলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।