পূর্বাভাস ছিলই। ফেব্রুয়ারির শেষে নিয়ম করেই বাড়ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। রবিবার তা পৌঁছয় ছত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় আগেই কালবৈশাখীর পূর্বাভাস জারি করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দফতর বলেছিল, ফিরে যাওয়ার আগে এক দফা বৃষ্টি নিয়ে ফিরবে শীত। সেই মতোই অকালবৈশাখীর হাত ধরে শহরে ফিরল শীত। তবে রাতভর ঝড়-বৃষ্টির জেরে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে শহর। কোথাও গাছ উপড়ে রাস্তা আটকে গিয়েছে। কোথাও বিদ্যুতের পোস্ট, হোর্ডিং, ফেস্টুন পড়ে রয়েছে রাস্তার মাঝে। যার জেরে যান চলাচল থমকে গিয়েছিল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু প্রশাসনের তৎপরায় অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটে।
কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাইপাস থেকে গড়িয়া সর্বত্রই একই চিত্র। সল্টলেক, এয়ারপোর্ট এলাকাতেও ঝড়ের দাপটে গাছ উপড়ে রাস্তা আটকে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুরসভার কর্মীরা রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছেন। গুরুসদয় দত্ত রোডে, বালিগঞ্জ, সাদার্ন অ্যাভেনিউ, কসবা, লেক অ্যাভেনিউয়ের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় গাছ এবং বাঁশের কাঠামো পড়ে থাকায় গাড়ির গতি অনেকটা কম। প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডে নবীনা সিনেমার ঠিক উল্টো দিকে একটি বহুতলের পাঁচিল ভেঙে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
উত্তর কলকাতার বাগবাজার, বরাহনগর, বেলঘড়িয়া, দমদম এক্সপ্রেস ওয়েতে গাড়ির গতি শ্লথ রয়েছে। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে বিপর্যস্ত যান চলাচল। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের বসেছিল হস্তশিল্প মেলা। ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে গিয়েছে বেশ কিছু দোকান। বৃষ্টির জেরে নিকো পার্কের কাছে বিশ্ব বাংলা সরণিতে গাড়ির গতি অনেকটাই কম। চিংড়িঘাটা, ইএম বাইপাসেও ধীর গতিতে চলছে গাড়ি। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র যানজটের আশঙ্কা তৈরি হলেও প্রশাসনিক দক্ষতায় তার মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা প্রশাসন।