দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছেন জওয়ানেরা। পরিবারকে চোখের জলে ভাসিয়ে শহীদ হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সঞ্চিত অর্থই তাঁদের পরিবারের সম্বল। অথচ সেই ন্যায্য টাকার জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরছেন শহীদদের স্ত্রী, মায়েরা। অভিযোগ বিমা সংস্থা তাঁদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন না।
পাঁচ বছর আগে শহীদ হয়েছেন সিআরপিএফ-র ডেপুটি কমান্ড্যান্ট হীরা কুমার ঝা অথচ তাঁর পরিবার এখনও বিমার টাকা না পাওয়ায় তাঁর স্ত্রী এখন দোরে দোরে ঘুরছেন৷ স্ত্রী বিনু ঝা নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন এবং তাঁর প্রয়াত স্বামীর সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে বিমার টাকা না পাওয়ার কথা বলেন৷ বেসরকারি বিমা সংস্থার এভাবে শহীদ পরিবারকে হেনস্তা করার জন্যে সিআরপিএফ কর্তারাই তাঁকে বিমার দাবি নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ এতদিন ধরে কেনও প্রতিকার না পাওয়ায় বিনু ঝাঁও এবার আইনি লড়াই করার কথা ভেবেছেন৷ আইনি লড়াইয়ে আধা সেনা কর্তারা প্রয়োজনে তাঁকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন৷
কিন্তু বিমার টাকা নিয়ে জটিলতা দেখা যায় কারণ সাধারণত ঝাড়খণ্ডে যেসব কর্মরত সিআরপিএফ জওয়ান এবং আধিকারিকরা মাওবাদী বিরোধী অভিযানে অংশ নিতেন, তাঁদের জন্য আলাদা বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছিল যাতে ওইরকম অভিযানে কারও মৃত্যু হলে নিহতের পরিবার মোটা টাকার বিমা পাওয়া যায়৷ কিন্তু ঝাড়খন্ডে কর্মরত থাকায় হীরাকুমার ঝাঁয়ের বিমা করা হয়েছিল শুধুমাত্র ওই রাজ্যে কোনও অভিযানে তাঁর মৃত্যু হলে বিমার টাকা মিলবে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বিহারের সীমান্তে – আর এই অজুহাতে বিমার টাকা আটকে দিয়েছে ওই বেসরকারি বিমা সংস্থাটি৷ তাছাড়া ওই বিমা সংস্থাটির যুক্তি বিহারের জামুই নামে যে স্থানে হীরাকুমারের মৃত্যু হয়েছিল সেটি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা নয়৷ বিমা সংস্থাটির এমন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সিআরপিএফ কর্মী ও অফিসারেরাও৷