গুলির লড়াই এবং রক্তের গন্ধ যেন চিরস্থায়ী হয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরে। পুলওয়ামা বিস্ফোরণের পরে অশান্ত কাশ্মীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছিল ১০০ কোম্পানি বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হল কই? কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলেন রাজ্য পুলিশের এক ডেপুটি সুপার ও সেনার এক নন-কমিশন্ড অফিসার। আহত হয়েছেন এক সেনা অফিসার। নিহত হয়েছে তিন জইশ জঙ্গি।
রবিবার জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে কুলগামের তুরিগাম এলাকায় তল্লাশি শুরু করে সিআরপিএফ ও সেনা। তখনই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। তখনই গুলি লাগে কুলগামের ডেপুটি পুলিস সুপার অমন কুমারের দেহে। যুবা এই পুলিশ আধিকারিক ২০১১ সালে বাহিনীতে যোগদান করেন। গত ২ বছর কুলগামেই কর্মরত ছিলেন তিনি। এদিনের অভিযানে পুলিসবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দক্ষ এই আধিকারিক। গত মাসেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সাহসিকতার কারণে পুরস্কৃত করা হয়েছিল আমন ঠাকুরকে।
শুক্রবার রাতের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে এ দিন উপত্যকায় হরতালের ডাক দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সকাল থেকেই একেবারে সুনসান ছিল শ্রীনগর-সহ কাশ্মীরের প্রায় সব বড় শহরের পথঘাট। বন্ধ ছিল দোকানপাট, অফিস। চলেনি সরকারি যানবাহনও। শ্রীনগরের পাঁচটি থানার অধীনে থাকা এলাকায় যাতায়াত ও জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আতঙ্ক ছড়ানোয় গতকাল খাবার, জ্বালানি, ওষুধের দোকানে ভিড় জমিয়েছিলেন কাশ্মীরিরা।