উত্তর প্রদেশের কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত মালদার ৯ শ্রমিকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরনের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মৃত শ্রমিকদের স্ত্রী, বোনেদের আইসিডিএস–এ চাকরি দেওয়া হবে।
আজ রবিবার মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে এনায়েতরপুর যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম বেনজির নুর। সেখানেই ফিরহাদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা শোকার্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা নিয়ে মালদা এসেছেন। প্রতিটি পরিবারকে দু’লক্ষ করে টাকা এবং মৃত শ্রমিকদের স্ত্রী, বোনেদের আইসিডিএস–এ চাকরি দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকেই এখন থেকে বিপিএল তালিকাভুক্ত করা হল যাতে কোনওভাবে আর্থিক অনটনে না ভোগেন তাঁরা। রাজ্যের তরফে নয়টি দেহই ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মালদার জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য শনিবারই বলেছিলেন, জেলা প্রশাসন এবং পুলিসের ২০ সদস্যের দল ভাদোহিতে তদন্তের জন্য যাচ্ছে। রবিবার ফিরহাদও বললেন, দলটি রওনা হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক আরও জানিয়েছেন, তিনি বারাণসীর জেলাশাসক রাজেন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যোগাযোগ রাখছেন। দুই রাজ্যের দুই জেলার পুলিস সুপারও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বারাণসীর এসপি রাজেশ এস সাংবাদিকদের জানালেন চৌরি থানার এসএইচও অজয়ন কুমার সিং এবং পুলিস চৌকির ইন–চার্জ প্রমোদ কুমারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। মৃতদের পরিবার এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছে।
কার্পেট কারখানা বা আতসবাজির দোকানের আড়ালে আরও বড় কোনও নাশকতামূলক কারবার চলত বলেই মনে করছে তদন্তকারী দল।
একই অভিযোগ করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং ভাদোহীর স্থানীয় বাসিন্দারাও। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে ফিরহাদের প্রশ্ন,খাগড়াগড়কান্ডের তদন্তভার রাজ্য সরকার এনআইএ–র হাতে তুলে দিয়েছিল। তাহলে এবার যোগী এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ–কে দেবেন কিনা।
