শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহীর রোটাহা গ্রামের কার্পেট কারখানা। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন শ্রমিক। যার মধ্যে ৯ জনই মালদার বাঙালি। তদন্তের ভার হাতে নিয়েছে এনআইএ৷ তদন্তে নেমে পাওয়া গেছে হ্যান্ড গ্রেনেডের খোলের টুকরো। এর জেরেই সন্দেহ বেড়েছে গোয়েন্দাদের।
ভাদোহীর স্থানীয় বাসিন্দা, বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন, বিস্ফোরণের কিছু আগেই একটি বাইক আসে ঘটনাস্থলে। বাইক আরোহী কারখানার সামনে বাইকটি রেখে পালিয়ে যায়। আর তারপরই হঠাৎ বাইক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। সব মিলিয়ে ভাদোহীর কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা ঘনীভূত। কার্পেট কারখানার আড়ালে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হত বলে গতকাল থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। যদিও বাজি কারখানা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন মালদার এনায়েতপুরের যুবকরা।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ওই এলাকায় ভেঙে পড়েছে তিন-তিনটি বাড়ি। দুটি বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মেলা হ্যান্ড গ্রেনেডের খোলের টুকরো। এর জেরেই সন্দেহ বেড়েছে গোয়েন্দাদের। অভিযোগ উঠেছে, কার্পেট কারখানায় প্রায় এক কুইন্টালের বেশি বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, জনবহুল স্থানে একটি কার্পেট কারখানায় কেন বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল? আবার, ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিস স্টেশন। তারপরেও কেন কেউ কিছু টের পেল না ? উঠছে সেই প্রশ্নও।