নিজে অবিশ্বাস্য হ্যাটট্রিক করেছেন, লুইস সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন এক গোল। সবমিলে ম্যাচটি আক্ষরিক অর্থেই মেসিময়। অথচ ম্যাচের এক তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচের ভাগ্যে ড্র লেখা আছে। কিন্তু কেন তাকে ‘সবার সেরা’ বলা হয়, তার আরও এক নজির স্থাপন করলেন লিওনেল মেসি।
সেভিয়ার সাথে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা এভার বানেগার ছোট ডি-বক্সে বাড়ানো ক্রসে ডাচ ফরোয়ার্ড কুইন্সি প্রোমেসের টোকা ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
২২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় সেভিয়া। নিজেদের ডি-বক্সের সামনে মেসির ভুলে বল পেয়ে যায় সেভিয়া। সেখান থেকে প্রতি–আক্রমণে ওঠে সেভিয়া। বেন ইয়েডার বল নিয়ে বক্সের সামনে এসে বল দিলেন হেসুস নাভাসকে। ডান প্রান্ত থেকে দূরের পোস্টে শট, এগিয়ে গেল সেভিয়া। ক্যামেরা তখন বারবার খুঁজে নিচ্ছিল অপরাধী মেসিকে।
২৬তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ভলিতে সমতা ফেরান মেসি। বাঁ দিক থেকে ইভান রাকিতিচের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বুলেট গতির শটে ক্রসবার ঘেঁষে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
৪২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবারও এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বার্সেলোনা গোলরক্ষকের দুর্বল উঁচু শটে বল পেয়ে যায় সেভিয়া। সতীর্থের পা ঘুরে আসা বল ধরে এগিয়ে গিয়ে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন পাবলো সারাবিয়া। আর ছোট ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মের্কাদো।
৬৭তম মিনিটে আবারও মেসির নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে শিরোপাধারীরা। সেভিয়া গোলরক্ষকের দুর্বল নিচু শটে বল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। সতীর্থের পাস পেয়ে উসমান দেম্বেলে বাড়ান মেসিকে। ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোলটি করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
৭২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক হতে পারতো মেসির। তবে তার বাঁ পায়ের জোরালো শটটি ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। ছয় মিনিট পর ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার আরেকটি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
অবশেষে ৮৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক পান মেসি। কার্লেস আলেনার শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল চলে যায় মেসির পায়ে। চিপ শটে একটু এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের উপর দিয়ে বল জালে জড়ান সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
চলতি লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসির গোল হলো ২৫টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মরসুমে তার গোল হলো ৩৩টি।