মদের বিষক্রিয়ার জেরে আসামে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পূর্ব অসমের গোলাঘাট, অন্যদিকে জোরহাট, দুই জেলাতেই এখন শুধু স্বজন হারানোর আর্তনাদ আর হাহাকার। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১০২, যার মধ্যে ৩২ জন মহিলা। বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে চিকিৎসাধীন অন্তত ৩০০ জন। যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও অসুস্থদের জন্য ৫০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি। কী ভাবে এই বিষমদ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছিল, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য এক কমিশনারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, ‘মৃত্যুর সংখ্যা ও ভর্তি সংখ্যা মিনিটে মিনিটে বাড়ছে। মেডিকেল শিক্ষার প্রধান অনুপ বার্মানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া ডিব্রুগড়, সনিৎপুর, তেজপুর থেকে ডাক্তার আনা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার জন্য।’
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন চা-বাগানের মধ্যেই একটি ঝুপড়ি থেকে মদ বিক্রি করছিলেন ৬৫ বছরের ধ্রুপদী ওঁরাও ও তাঁর ছেলে বছর ত্রিশের সঞ্জু ওঁরাও। তাঁর কাছ থেকেই চা বাগানের শ্রমিকরা মদ কিনেছিল বলে জানা যায়। পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট পার্থপ্রতিম শইকিয়া বলেন, যতদূর মনে হচ্ছে, টি এস্টেটের বাইরে মদ তৈরি হয়েছিল। জ্যারিকেনে ভরে সেই মদ বাগানের ভেতর নিয়ে আসা হয়।
