শহরের আবর্জনা দূরীকরণে এবং শহরের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য ফাঁকা বা অব্যবহৃত পরিত্যক্ত জমিতে আবর্জনা ফেললে নোটিস পাঠাবে কলকাতা পুরসভা। অকারণে জল জমিয়ে রাখাও যাবে না যেখানে সেখানে। বৃহস্পতিবার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি, বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে অভিযান শুরু হয়। ৩৫ডি মুরারিপুকুর রোডের সম্পত্তির মালিককে দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জাল সাফাই না করার জন্য পুর আইনের ৪৯৬এ ধারায় নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।
ডেপুটি মেয়র জানান, “আক্রান্তদের এলাকা ধরে রোড ম্যাপ করা হয়েছে। ৫২ দিনের অভিযান প্রকল্প। আজ থেকে শুরু হয়েছে”। এদিন উত্তর কলকাতার মুরারিপুকুর রোডের ৩০টি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। নিকাশি ব্যবস্থা, নালাগুলো নিয়মিত পরিস্কার রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেপুটি মেয়রের ওপর কর নির্ধারণ ও আদায় বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের মতো সম্পত্তি কর প্রক্রিয়া ও আদায় নিয়ে অভিযান চালিয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী গতবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ আয় বেড়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গেছে যে, সম্পত্তি কর নির্ধারণ ও আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তুলতে পুরসভা ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছে। বেড়েছে নথিভুক্ত করদাতার সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত পুরসভার সম্পত্তি কর খাতে পুরসভার আদায় হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এ খবর জানান। এদিন ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, “২০১৮–১৯ অর্থবর্ষ এখনও শেষ হয়নি। এখনও পর্যন্ত ৮০০ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এখনও ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় রয়েছে”।