কলকাতার পিজি হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে সব ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বিশাল অপারেশন থিয়েটার। এই হাসপাতালের নির্মীয়মান ইউরোলজি-নেফ্রোলজি ডিপার্টমেন্টের ছ’তলায় তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, পিজির ইউরো-নেফ্রো বাড়িতে ইউরোলজি ও নেফ্রোলজি ডিপার্টমেন্ট-এর দুটি বিভাগই উঠে আসছে। প্রস্তাবিত ১১ তলার বাড়িটির সাততলা পর্যন্ত কাজ শেষ, বাকি কাজ ১ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই ইউরোলজি ডিপার্টমেন্ট চলে গেছে নতুন বাড়িতে, পরের ধাপে নেফ্রোলজি ডিপার্টমেন্ট যাবে।
বাড়িটির ছ’তলায় তিনটি টেবিলযুক্ত অপারেশন থিয়েটার তৈরি হয়েছে। এখানে শুধু কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ হবে। এছাড়াও লিভার, হার্ট, ফুসফুস, ত্বক সমস্ত ধরনের প্রতিস্থাপনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ইউনিট এবং একটি স্বতন্ত্র বিভাগ তৈরির প্রস্তাব জমা পড়েছে। এই ইউনিটের ডাক্তাররা কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরনের প্রতিস্থাপন করবেন।
এই অপারেশন থিয়েটারের জন্য কেনা হচ্ছে বিশ্বমানের যন্ত্রপাতি। ‘রিজিওনাল অর্গানাইজেশন ফর অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্টেশন’ এই যন্ত্রপাতি দিচ্ছে। ছ’তলার ওটির পাশেই থাকছে পোস্ট অপারেটিভ আইসিইউ। প্রসঙ্গত, পিজিতে লিভিং ডোনারের মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় বছরে প্রায় ৪৫-৪৮টি। ২০১৮ সালে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ২৩টি। এই প্রতিস্থাপনের স্বতন্ত্র অপারেশন থিয়েটার করায় কিডনি প্রতিস্থাপনের হার বাড়বে পাশাপাশি এই কাজের জন্য রুটিন বিভাগীয় রোগীরা তাঁদের জরুরি ও প্ল্যানড অপারেশন অবহেলিত হবে না।
এখানে প্রতিস্থাপনের কাজে যুক্ত বহু বর্ষীয়ান চিকিৎসক মানেন যে, যেভাবে পিজি একে একে সব অঙ্গ প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স পেয়েছে, সেখানে অন্যকাজকে বজায় রেখেও এই প্রতিস্থাপনকে গুরুত্ব দেওয়ার একমাত্র পথ হল পৃথক ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিট গড়া। বুধবার এ বিষয়ে পিজি অধিকর্তা ডঃ মণিময় বন্দোপাধ্যায় বলেন, “নিউরো-নেফ্রো বাড়িতে ট্রান্সপ্লান্ট ওটি হবে। আর সমস্ত ধরনের প্রতিস্থাপন এক ছাতার তলায় করার জন্য একটি প্রস্তাব এসেছে।