পুলওয়ামা বিস্ফোরণের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি জম্মু-কাশ্মীরে।সর্বত্র চলছে তল্লাশি তার ওপরে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছে জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিন মালিককে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে শ্রীনগরে পাঠানো হল অতিরিক্ত ১০০ কোম্পানি আধাসেনা।
সেনা সূত্রে খবর, প্রতিটি কোম্পানিতে মোটামুটি ৮০ থেকে ১৫০ সেনা থাকে। সেইসূত্রে বোঝা যাচ্ছে মোট ১০ হাজার আধাসামরিক বাহিনীর সেনাকে পাঠানো হয়েছে কাশ্মীরে। এই আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে ৪৫ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৩৫ কোম্পানি বিএসএফ, ১০ কোম্পানি সশস্ত্র সেনা বল ও ১০ কোম্পানি ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের সেনাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে।
একদিকে, উপত্যকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই। অন্যদিকে, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতেই এত সংখ্যক আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে জম্মু–কাশ্মীরে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের উপর থেকে নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে রয়েছে রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরও তাদের সঙ্গে যোগ দেবে ১০০ কোম্পানি আধাসেনা। পুলওয়ামা হামলার জইশের হাত ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর উপত্যকায় উত্তাপ বাড়ছে। ফলে বাড়ানো হয়েছে তল্লাশি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।