দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। গোটা দেশেই ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচারব। ভোট সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারের লক্ষ্যে এবার বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার পাশাপাশি গুগল-ফেসবুকেরও সাহায্য চাইল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেশের গুগল ও ফেসবুকের কর্তাদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেছে কমিশন।
জানা গেছে, সচেতনতা প্রচারের পাশাপাশি নির্বাচনকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর, প্ররোচনামূলক, হিংসাত্মক প্রচার ও গুজব নিয়ন্ত্রণে গুগল ও ফেসবুকের কাছে সাহায্য চেয়েছে কমিশন। ওই দুই সংস্থার কাছে তাদের অনুরোধ, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন ফেসবুকে কেউ অপ্রীতিকর ছবি, বক্তব্য পোস্ট করলে সঙ্গে সঙ্গে তা যেন ব্লক করে দেওয়া হয়। কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচারে গুজব ও কুকথা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাক্সেনা কমিটির সুপারিশ কার্যকর করতে চেয়ে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকের ছাড়পত্র চেয়েছে।
এর পাশপাশি ভোট সচেতনতার প্রচারে কমিশনের পরামর্শ মেনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবও গুগল ও ফেসবুকের কর্তাদের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যাতে দুই সংস্থা নিজে থেকে প্রচার চালায়। এছাড়া স্থানীয় কর্পোরটে সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিভিন্ন দপ্তর, কর্পোরেট সংস্থা, আকাশবাণী, দূরদর্শন, বেসরকারি টিভি চ্যানেল, এফএম চ্যানেলের কর্তাদের এই সচেতনতা প্রচারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছেন। জানা গেছে, রেল ও মেট্রোতেও ভোটের সচেতনতা প্রচারের আর্জি জানাবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
কমিশনের কর্তাব্যক্তিদের কথায়, ‘এই ধরনের প্রচারকে সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর)-র অংশ হিসেবে দেখা হবে। এ জন্য কর্পোরেট মন্ত্রক ইতিমধ্যেই আইনি ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে সচেতনতা প্রচারে সিএসআর-এর সুবিধা কী করে ব্যবহার করা যায়, তার পথ খুঁজতে বলা হয়েছে।’ সবমিলিয়ে, আসন্ন লোকসভায় ভোট সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে কমিশন।