গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গী হামলার জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছে ভূ-স্বর্গ। সন্ত্রাসবাদের কারণে উপত্যকায় তৈরি হওয়া উত্তেজনা প্রশমনে এবার সচেষ্ট হল আমেরিকা। শুক্রবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সামনে এই হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই হিংসা থামানোর কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভীষণ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমরা চাই এটা (হিংসা) থামুক। প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন। আমরা শুধু চাই এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হোক। আমরা এর (প্রক্রিয়াটার) সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন যে, ‘ভারত খুব কড়া উত্তরের কথা ভাবছে। প্রায় ৫০ জনের প্রাণ যাওয়ার পর এরকম মানসিকতা জন্মানোটা বুঝি। আমরা দু’দেশের সঙ্গেই কথা বলছি। প্রচুর মানুষ কথা বলছে। যা ঘটেছে তার জন্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রচুর সমস্যা তৈরি হয়েছে। খুব ভারসাম্য বজায় রেখে বিষয়টা আলোচনা করতে হবে।’
তিনি এ-ও বলেছেন, পাকিস্তান আগে আমেরিকার কাছ থেকে অনেক সুবিধা পেয়ে এসেছে। আমেরিকা প্রতি বছর পাকিস্তানকে ১৩০ কোটি ডলার সাহায্য করত। পরিবর্তে পাকিস্তানের থেকে যথাযথ সাহায্য না মেলায় তিনি এই অর্থ সাহায্য বাতিল করে দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক ভাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ভারত-পাক টানাপড়েন নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন, জানান ট্রাম্প।
১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয় লক্ষ্য করে জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান ৪৪ জওয়ান। তার পর থেকেই আরও উত্তপ্ত দু’দেশের সম্পর্ক। কড়া প্রত্যুত্তরের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। তবে সাংবাদিক বৈঠক করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারত বদলা নিলে পাল্টা হামলা করবে পাকিস্তানও। বর্তমানে যা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে আরও।