পরিবারের মহিলাদের নামেই হবে স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্ট কার্ড। আজ শুক্রবার তারকেশ্বরের সভা থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘পরিবারের হেড আর পুরুষরা নন, মহিলারা। অন্তত স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্ট কার্ডের ক্ষেত্রে এটাই বাস্তব।’
স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্ট কার্ডের আওতায় বিবাহিত মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি, ছেলে, মেয়ে, স্বামী যেমন থাকবেন তেমনই তাঁর মা-বাবাও থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে সাধারণ অসুখে দেড় লাখ টাকা ও ক্যান্সার বা এধরনের জটিল অসুখের ক্ষেত্রে ৫ লাখ খরচ করতে পারবে মানুষ। এই প্রকল্পের আওতায় পঞ্চায়েত ও পুরসভার জন প্রতিনিধিরা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, অঙ্গনওয়াড়ি–আশা কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, কেবল টিভি অপারেটর, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, পরিচারিকা, হকার, শৌচালয় কর্মী, রিকশা চালক সকলেই পড়ছেন।
এদিন তারকেশ্বরে রানি রাসমনি কৃষি কলেজের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরামবাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একাধিক সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে এদিন সচেতন করেন মমতা। সেই সঙ্গে শস্য বিমা নিয়ে কেন্দ্র যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারও কড়া সমালোচনা করেন। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে রাজ্য সরকার হাত তুলে নিয়েছে তা আরও একবার জানিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বলে কিছু নেই। যাঁরা কাগজ পাঠাচ্ছে, সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেদিন। কারণ রাজ্য সরকার সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।’