রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে সেরার পুরষ্কার জিতে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। পুরষ্কার পেতে চলেছে ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পও। পাশাপাশি, সরকারের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রীদের জন্য বৃত্তি এবং ‘সবুজসাথী’-তে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কমেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। শুক্রবার তারকেশ্বরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোলসা করলেন, কেন তিনি এইসব প্রকল্প শুরু করেছিলেন? কেন ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি?
মমতা বলেন, ‘ছোটবেলায় খুব ইচ্ছা ছিল। স্কুলে পড়ার সময় বাবা-মাকে বলেছিলাম, একটা সাইকেল কিনে দিতে। কিন্তু দিতে পারেনি। তাই কন্যাশ্রীর ছাত্রীদের সাইকেল দিয়েছি। এমনকি ছাত্রদেরও দিয়েছি।’ নিজের বক্তৃতায় তারকেশ্বর ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বলছিলেন মমতা। সেই প্রসঙ্গেই বলেন, ‘আপনাদের কাজ মন দিয়ে করি। আন্তরিকতার সঙ্গে করি। অনেক সময় আর্থিক সাধ্য না থাকলেও বলি কাজটা করে দিতে। কিন্তু সবটা তো একসঙ্গে হয় না। একটু একটু করে তো হচ্ছে।’ সেই সূত্রেই মমতা বলেন, ‘আমার বাবা যখন বই কিনে দিতে পারেনি, তখন আমি আমার গলার হার বিক্রি করে দিয়ে কলেজের বই কিনে পড়াশুনা করেছি।’ এভাবেই তারকেশ্বরের মঞ্চে প্রথম জীবনে দারিদ্রের সঙ্গে তাঁর লড়াইয়ের টুকরো কাহিনীর স্মৃতিচারণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই। বরাবরের সংযমী। এটাই মমতার রাজনৈতিক ইউএসপি। মমতার জীবনে অপ্রাপ্তির তালিকা কম নয়। কিন্তু তারপরেও তাঁর মাটি ঘেঁষা জীবনযাপন, সংযমী অথচ সংকল্পে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান রাজনীতির একজন ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেই মনে করেন ওয়াকিবহাল মহল।