পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হচ্ছেন কাশ্মীরি যুবক-যুবতীরা। এবার তাঁদের উপর এই হামলা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট। কাশ্মীরিদের ওপর হামলাও জনরোষ আটকাতে আজ শুক্রবার কেন্দ্রের এবং দশটি রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। হামলার পাশাপাশি কাশ্মীরিরা যাতে সামাজিক বয়কট বা হেনস্থার শিকার না হন, সেই বিষয়টিও দেখতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি যে দশটি রাজ্যকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হল জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মেঘালয়, ছত্তীসগঢ়, বাংলা, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র। এছাড়া আরও দু’একটি রাজ্যের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তারিক আদিব নামের যে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি করে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি দাবি করেছিলেন, তিনি মেঘালয়ের রাজ্যপালের বিতর্কিত মন্তব্য রেখেছিলেন তাঁর আবেদনে। প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় টুইট করে কাশ্মীরিদের বয়কট করার দাবি করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, যে সমস্ত পুলিস অফিসাররা গণপিটুনির ঘটনা রুখতে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন, এবার থেকে কাশ্মীরিদের সুরক্ষা প্রদানেরও দায়িত্বও তাঁদের উপর বর্তাবে। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সমস্ত নোডাল অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর প্রকাশ্যে আনার নির্দেশও দিতে বলেন। যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
এই প্রসঙ্গে বিচারক সঞ্জীব খান্না বলেন, ‘কাশ্মীরি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের যাতে হুমকি, হামলার সম্মুখীন না হতে হয় এবং সামাজিকভাবে একঘরে করে না দেওয়া হয়, সেজন্য সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং দিল্লী কমিশনারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে ইতিমধ্যে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ।
