গোটা দেশের মধ্যে বাংলাই শিল্পের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় রাজ্য। সোমবার বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই)–র ১৩২তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এসে এ কথা বলেন স্বয়ং বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রাজ্যপাল এ-ও বলেন, ‘বাণিজ্যকে বিশেষ করে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিএনসিসিআই একটা নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিএনসিসিআইয়ের সভাপতি সত্যম রায়চৌধুরী এবং বাংলা, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সদস্য ও সরকারি আধিকারিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্টরা। সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, ‘সদ্য অনুষ্ঠিত বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (বিজিবিএস) প্রমাণ করেছে, গোটা পৃথিবী এই রাজ্য সম্পর্কে কীভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং বিনিয়োগ করতে চাইছে।’ গতকাল যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফে বিএনসিসিআইয়ের ওপর একটি বিশেষ ‘কভার’ প্রকাশ করা হয়।
রাজ্যপাল বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান ইংরেজ আমলে স্বদেশি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং স্বাধীনতার পর সরকারের আর্থিক উন্নতিতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। নতুন উদ্যোগপতিদের সাহায্য করছে। দক্ষতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় বিএনসিসিআই প্রশিক্ষণেরও বন্দোবস্ত করছে।’ আর স্বাগত ভাষণে সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, ‘রাজ্য তথা দেশে বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে এরকম দিনেই আমরা নতুন করে শপথ গ্রহণ করি।’
১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয় জাতীয় কংগ্রেসের। অন্যদিকে, ১৮৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় বিএনসিসিআই। বিএনসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকদের কাছে জাতীয় কংগ্রেস যদি সমতা এবং স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের মঞ্চ হয়ে থাকে, তবে এই প্রতিষ্ঠান ছিল উদ্যোগপতিদের এগিয়ে যাওয়ার মঞ্চ। আমাদের লক্ষ্য তরুণরা যাতে নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারেন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা।’ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং অন্যান্য কৃতী বাঙালিদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার রাজ্য নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।’