জম্মু-কাশ্মীরে কাউকে অস্ত্র হাতে দেখলেই গুলি করা হবে। পুলওয়ামা কান্ডের পর আজ মঙ্গলবার শ্রীনগরে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং রাজ্যপুলিসের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই কড়া বার্তা দিল সেনাবাহিনী।
সেনার তরফে কাশ্মীরের সমস্ত মায়েদের কাছে অনুরোধ করা হয়। সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিং ধিল্লোঁ বলেন, ‘আমি জানাতে চাই পুলওয়ামা হামলার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান থেকে পরিচালিত জৈশ–ই–মহম্মদকে উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলা হয়েছে। যে কেউ হাতে অস্ত্র তুলবে তাকেই গুলি করে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। উপত্যকায় কোনওরকম নাশকতা বরদাস্ত করা হবে না। এতে সন্দেহ নেই পাকিস্তানি সেনা আর আইএসআই এর পিছনে জড়িত। জৈশ পাকিস্তানি সেনার সন্তানমাত্র। যে সব কাশ্মীরীদের সন্তানরা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের অনুরোধ, সন্তানদের বোঝান তারা যেন অবিলম্বে সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে। তাহলে সামাজিক সুরক্ষা মিলবে। আর হাতে অস্ত্র তুলে নিলে গুলি করে নিশ্চিহ্ন দেওয়া হবে’।
সাংবাদিক সম্মেলনে ধিল্লোঁ আরও বলেন, ‘পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারির মতো হামলা কাশ্মীরে দীর্ঘ দিন বাদে হয়েছে। এধরনের হামলা মোকাবিলায় সব রকম পথ আমরা খোলা রাখছি। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়েছিল তা জানতে পারলেও তদন্তের খাতিরে সব কিছু এখন বলা সম্ভব নয়। সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের বার্তা পরিষ্কার। যে কেউ এই মনোভাবে উপত্যকায় ঢুকবে, বেঁচে ফিরবে না। সোমবারের হামলায় জখম ব্রিগেডিয়ার হরদীপ সিং–এর কথা উল্লেখ করে ধিল্লোঁ বলেন, ‘আঘাতের জন্য ছুটিতে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার হরদীপ সিং। কিন্তু তিনি ছুটি বাতিল করে ফিরে নিজের বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে।’
পুলওয়ামার হামলার পর সেখানে একটি অপরাশেন হয়েছে। সেই অপারেশনে এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছেন। কয়েকজন সেনা আধিকারিক শহিদ হয়েছেন। সেকথা উল্লেখ করে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছে সেনার অনুরোধ, এনকাউন্টার চলাকালীন ও তার পর ঘটনাস্থলের থেকে দূরে থাকুন। এতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে পারে।