আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির যোগাযোগ আরও সহজ হয়ে যাবার সম্ভবনা আছে। মেট্রো চলবে দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়ার নির্মীয়মাণ লাইনে। উত্তর শহরতলি থেকে অল্প সময়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। বর্তমানে এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ প্রায় শেষ। ২০১৯-’২০ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। মেট্রো সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত (৪.০১২ কিলোমিটার) মেট্রো পথের কাজ প্রায় শেষের মুখে। এই মেট্রো পথে নোয়াপাড়ার পরের স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে বরানগরে। তার পরের স্টেশনটাই হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, “চলতি বছরেই এই পথের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠুভাবে কাজও চলছে। কাজ শেষের পর প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে পরিষেবা শুরু করতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস হয়ে যাবে”।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহর ও শহরতলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে একাধিক মেট্রো রেল প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তার মধ্যেই রয়েছে এই প্রকল্পটি। দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো চলাচল শুরু হলে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি জেলার বাসিন্দারা দ্রুত শহরের প্রাণকেন্দ্র কিংবা দক্ষিণ শহরতলিতে পৌঁছতে পারবেন। নোয়াপাড়ার পরিবর্তে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চললে যাত্রীদের সুবিধা হবে।। কারণ, নির্মীয়মাণ বরানগর স্টেশনের পাশ দিয়েই শিয়ালদহ রুটের ট্রেন বা বাস রয়েছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে দক্ষিণেশ্বরে আপলাইন থেকে ডাউন লাইনে ট্রেনকে ঘোরানোর জন্য একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘ওয়াই সাইডিং’-এর পরিবর্তে সেখানে থাকবে ‘ভি সাইডিং’। সাধারণত ট্রেন ঘোরানোর জন্য ওয়াই সাইডিং তৈরি করা হয় স্টেশনের ছাড়িয়ে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর তেমন জায়গা না থাকায় স্টেশনে ঢোকার মুখে ভি সাইডিং তৈরি হচ্ছে। তাতে আপ লাইনের ট্রেন একবার ডাউন প্ল্যাটফর্ম এবং একবার আপ প্ল্যাটফর্মে ঢুকবে এবং সেখান থেকেই ডাউনের ট্রেনগুলি ছাড়বে। অন্তত, এখনও পর্যন্ত তেমনই পরিকল্পনা।
বর্তমানে মেট্রোর আপ লাইনে অর্থাৎ দমদমমুখী ট্রেনগুলির মধ্যে প্রতিটি ট্রেনকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত চালানো হয় না। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চললে যাত্রী সংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে। কাজে সেই সময় আরও বেশি ট্রেন চালাতে হবে বলেই মনে করছেন কর্তারা।