জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলা থেকে শুরু করে অতীতের বহু ঘৃণ্য জঙ্গী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার। তাকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া নিয়ে ভারত-চীন দড়ি টানাটানি চলছেই। জঙ্গী হলেও তাকে জেরা করার কাজটা বেশ সহজ কাজ এমনটাই জানিয়েছেন আজহারকে জেরা করা প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক অবিনাশ মহানি। তাঁকে চড়-থাপ্পড় মারলেই সব গড়গড় বলে দিত ওই জঙ্গী।
সিকিমের প্রাক্তন ডিজিপি বলেন, “তাঁকে জেরা করা খুব সহজ ছিল। আর্মি অফিসারদের একটা চড়েই সে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ত। কোট বালওয়াল জেলে বহুবার তাঁকে আমি জেরা করেছি। তাঁর কাছ থেকে তথ্য আদায় করার জন্য মোটেও খুব একটা কষ্টকর পদ্ধতি ব্যবহার করার দরকার হতো না”। সেদিনের জেরার কথা স্মরণ করে অবিনাশ বলেন, আজহার তাঁকে জানান পর্তুগিজ পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করে সে। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল হরকত-উল-ই-ইসলামি ও হরকত-উল-মুজাহিদিনকে একজোট করা। প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আরো জানান, আজহার তাঁকে বলেছিল, আমাকে বেশিদিন জেলে ধরে রাখা সম্ভব নয়। আামার জনপ্রিয়তা বেশি। আইএসআই আমাকে ঠিকই উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। ঘটনাচক্রে ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার গ্রেপ্তারির ১০ মাসের মধ্যেই কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ করা হয়। যদিও সেবার মাসুদকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।