পুলওয়ামা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই শহীদ ৪২ জওয়ান৷ গোটা দেশ সামিল হয়েছে এই শোকে৷ দিকে মানুষ সোচ্চার হচ্ছে প্রতিবাদে৷ সোশ্যাল মিডিয়াতেও মানুষ এখন দু’ভাগে বিভক্ত, কেউ বলছেন যুদ্ধ চাই, কেউ বলছেন চাই না৷ ইতিমধ্যেই শহীদ বাবলু সাঁতরার স্ত্রী এই শোকেও দৃঢ় ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “যুদ্ধ সমাধান নয়”৷ একই কথা বলেছেন কার্গিল যুদ্ধে বাবাকে হারানো গুরমেহর কৌরও৷ এই আবহেই পরিস্থিতিকে আরো উস্কে দেওয়ার মত কথা বললেন রাজ ঠাকরে৷ রাজ ঠাকরে ঘোষণা করলেন, সব মিউজিক কোম্পানিগুলিকে জানানো হয়েছে, তারা যেন পাকিস্তানি গায়কদের সঙ্গে কাজ না করে।
শনিবার এমএনএস-এর সংস্কৃতি বিষয়ক শাখার তরফে ভারতের বড় সব মিউজিক কোম্পানিগুলিকে এ কথা জানানো হয়েছে। এমএনএস চিত্রপট সেনার প্রধান আমে খোপকার জানিয়েছেন, “আমরা ভারতের সব বড় মিউজিক কোম্পানি, যেমন টি-সিরিজ, সনি মিউজিক, ভেনাস, টিপস মিউজিক প্রভৃতির সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলেছি। তাদের বলা হয়েছে, কোনও পাকিস্তানি গায়কের সঙ্গে কাজ না করতে। যারা কাজ শুরু করেছে, তাদের ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। নইলে আমরা নিজেদের মত করে পদক্ষেপ নেব।”
অতীতেও বহুবার দেখা গিয়েছে, দুই দেশের উত্তেজনা বাড়লে তার প্রভাব এসে পড়ে সাংস্কৃতিক সম্পর্কে ও দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটে৷ উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের নায়ক-গায়কদের ভারত ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা। এই ঘটনাকে অনেকেই ‘বাড়াবাড়ি’ আখ্যা দিয়েছিলেন৷ এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির পর ফের রাজ ঠাকরেকে নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে৷