বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার কিছু পরেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ে হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগের উদ্বোধন। কাশ্মীরের ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ফের চাপানউতোর শুরু। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে বেসরকারি স্তরে ব্যবসার ক্ষেত্রে যে সে রকম বাধা নেই, তা প্রমাণ করে দিল রিলায়েন্স। পাকিস্তানের এই টি-টোয়েন্টি লিগের সম্প্রচারের দায়িত্ব যে আইএমজি-রিলায়েন্সের হাতে! মজার ব্যাপার হলো, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেও পিএসএলের সম্প্রচার সত্ত্ব কিনে নিয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপ!
গত জানুয়ারির মাঝামাঝি পাকিস্তান বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল আইএমজি-রিলায়েন্সের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি নিজেই সেই সময় বলেছিলেন, ‘আমরা রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছি।’ পাকিস্তান সুপার লিগের গ্রুপ লিগ পর্যন্ত সব ম্যাচ আমিরাতে হলেও প্লে অফ ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত সেই সব ম্যাচের সম্প্রচারের দায়িত্বও নিয়েছে আইএমজি-রিলায়েন্স!
দু’দেশের মধ্যে ক্রিকেট সম্পর্ক এখনও খারাপ। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ ২০১৩ সালের পর থেকে। আর পুলওয়ামার ঘটনার পর এখন সে রকম সিরিজ শুরুর সম্ভাবনাও নেই। যতই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পরেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরুর দাবি তুলুন, খুব শীঘ্র তা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে বাণিজ্য দিব্যি জারি দু’দেশের মধ্যে।
আইএমজি-রিলায়েন্সের হাত ধরেই পিএসএলের চতুর্থ আসরের সম্প্রচার শুরু হলো। এই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের জন্য ব্যবহার হতে চলেছে আধুনিক কিছু প্রযুক্তি। দুবাই ছাড়াও খেলা হবে আবুধাবি ও শারজায়। প্রতি স্টেডিয়ামে ৩৩টি ক্যামেরা থাকছে সম্প্রচারের জন্য। যেগুলোর মধ্যে আলট্রা মোশন, সুপার স্লো মোশন ক্যামেরা, বগি ক্যাম, ড্রোন, স্পাইডার ক্যাম থাকছে।
পাকিস্তানে পিএসএল ফোর সম্প্রচারের দায়িত্ব বর্তেছে সে দেশের জিও টিভির উপর। কিন্তু সে দেশে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ক্যামেরা সেট-আপের কাজ আইএমজি-রিলায়েন্সের করাও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে পুলওয়ামার ঘটনার পর।