রাজ্যে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নতুন বটলিং প্লান্ট তৈরি করবে কোকাকোলা। বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মেলনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী একথা ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে রাজ্যে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থাটির যে তিনটি বটলিং প্লান্ট রয়েছে তার মধ্যে কেবল একটি সংস্থাটির নিজের। সেটি শিলিগুড়িতে। সেখানেই হবে সংস্থার নিজস্ব দ্বিতীয় বটলিং প্লান্টটি।
সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট টি কৃষ্ণকুমার৷ জানান, “গত দু’বছর ধরে ফ্রুট জুস এবং ওই জুস-নির্ভর ড্রিংকস তৈরির দিকে বেশি ঝুঁকছে কোকাকোলা। সেটা করতে গিয়ে আমরা জোর দিচ্ছি রাজ্য-ভিত্তিক পছন্দের ফলের স্বাদের ড্রিংকসের উপর”।
বিভিন্ন স্বাদের ফলের জুস-নির্ভর পানীয়ের সম্ভার বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার চাষিদের থেকে ফল সংগ্রহের উপরও জোর দিচ্ছে কোকাকোলা। ভারতে প্রচুর ফল উৎপাদিত হলেও বেশির ভাগটাই প্রক্রিয়াকরণ হয় না। ফলের দাম ভালো না পাওয়ায় উৎপাদন বাড়াতেও বিশেষ মন দেয়না চাষিরা।
এ রাজ্যে কোন ফল চাষিদের থেকে কি দামে কেনা হবে এবং কোন ফলের জন্য কোথায় খামার তৈরি হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে গ্রহণ করা হবে। মূলত আনারস এবং লিচুর জুস তৈরি করার সম্ভবনা আছে।
কৃষ্ণকুমার জানান, “চুক্তিভিত্তিক চাষের ব্যবস্থায় যাবে না মার্কিন সংস্থাটি”। তাঁদের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন স্বাদের ফলের জুস ভিত্তিক পানীয় বাজারে এনে সেই ফলের বাজার চাহিদা তৈরি করা পাশাপাশি ফলচাষিদের উন্নত করা। এটিকে বলা হয় ফ্রুট সার্কুলার ইকনমি। আদতে এটি একটি বাণিজ্যিক উত্থানের চেষ্টা।