২০১৩ সালের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ল। তাঁদের টার্গেট ছিলেন খোদ তিব্বতি ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামা৷ তাঁকে সরিয়ে দিতেই নাশকতার ছক করেছিল জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি৷ বাংলাদেশের এই জঙ্গী সংগঠনটির ভারতীয় শাখা হল জেএম-আই৷
জানা গিয়েছে আরিফুল ইসলামের বাড়ি অসমে৷ বাংলাদেশ সংলগ্ন নাম্নী অসম জুড়েই জেএমবি জাল ছড়িয়ে। বাংলাদেশে একাধিকবার নাশকতার সঙ্গে জড়িত জেএমবি। এই তথ্য আগেই দিয়েছেন গোয়েন্দা বিভাগ। এই সংগঠনটিতে ভাঙন ধরে কয়েকবছর আগে তারপর তৈরি হয় নব্য জেএমবি৷ ঢাকার গুলশন ক্যাফে হামলার পর সংগঠনটির নব্য অংশের নেতরা ধরা পড়েছিল তারপর ফের সক্রিয় হয়েছে পুরনো জেএমবি৷
মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের বদলা নিতেই বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, নব্য জেএমবি বাংলাদেশের সংগঠন৷ তারা ভারতেও নাশকতার পরিকল্পনা করেছে৷ রোহিঙ্গা মুসলিম বনাম বৌদ্ধ সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ রক্তাক্ত হয়৷ চলে সেনা অভিযান৷ তারই বদলা নিতে মরিয়া হয়েছে বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন নব্য জেএমবি৷
২০১৩ সালে বিহারের বুদ্ধগয়ায় পরপর কয়েকটি কম মাত্রার বিস্ফোরণ হয়৷ তিব্বতি ধর্মগুরু চতুর্দশ দলাই লামার সফর শেষ হতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছিল৷ ঘটনার জেরে মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন বৌদ্ধধর্ম প্রধান রাষ্ট্র প্রতিক্রিয়া দেয়৷
এর আগে ধরা পড়ে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে জড়িত পয়গম্বর ও জামিরুল৷ জেরায় উঠে এসেছে, ২০১২-১৩ সালের মধ্যে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের জন্য পয়গম্বর ও জামিরুলের ট্রেনিং হয়েছিল। এরা দুজনেই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের ল্যাপটপ ও মোবাইল ঘেঁটে আরও তথ্য খুঁজছেন গোয়েন্দারা৷