জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় বৃহস্পতিবারের জঙ্গী হানার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। গতকালের এই হামলায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। রাজনীতি থেকে বলিউড, ক্রিকেট থেকে ফুটবল সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দায় সামিল হয়েছে। পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে আমেরিকা জানিয়েছে, অবিলম্বে জঙ্গী সংগঠনগুলিকে সাহায্য করা বন্ধ করে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হোক। ট্রাম্প সরকারের ভাষায়, পাকিস্তানের মাটি জঙ্গীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
ভারতে রাজনীতি থেকে বলিউড, ক্রিকেট থেকে ফুটবল সকলেই এই হামলার তীব্র নিন্দায় সামিল হয়েছে। ৪০ জন শহিদ হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়ে হোয়াইট হাউজের মিডিয়া সচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘অবিলম্বে জঙ্গীদের সহায়তা করা বন্ধ করে তাঁদের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দিল আমেরিকা। পাকিস্তানে জঙ্গীদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ হোক। যে সব জঙ্গীদের আসল উদ্দেশ্য হিংসা ও বিদ্বেষ তৈরি করা, তাঁদের এই মুহূর্তে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলা কেবলমাত্র মানবতা বিদ্বেষীদেরই হাত শক্ত করবে। যা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। তবে জঙ্গী কার্যকলাপ বন্ধ করতে ভারত–আমেরিকা হাত মেলাবে।’
গত দু’দশকের মধ্যে সেনাবাহিনীর ওপর ভয়ানক আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল। আহতেদের শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবন্তীপুরায় এই হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ–ই–মহম্মদ। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি টুইট করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘যাঁরা এই অপরাধ ঘটাল, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। এমন শাস্তি, যা ওরা কখনও ভুলতে পারবে না।’ এর আগে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে উরির সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই সময় ১৯ জন সেনা শহিদ হয়েছিলেন।