যাই যাই করেও জাচ্ছে না শীত। আবার এর মধ্যেই অনুভূত হচ্ছে গরম। ভোর এবং সন্ধ্যার দিকে ঠান্ডা, আবার দুপুরের দিকে রীতিমত ঘাম আনা গরম, আবার একটু রাত বাড়লেই গায়ে দিতে হচ্ছে গরম পোশাক, আবহাওয়া কার্যত ভেলকি দেখাচ্ছে। আর এই ভেলকির ফলেই শরীরে বাসা বাঁধছে রোগজীবাণু । ছোট থেকে বড় সকলেই ভুগছেন জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার এই তারতম্যেই ভাইরাল ফিভার আক্রমণ করে আমাদের। ফুসফুসের সংক্রমণও এই সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। অসুস্থতা কখনও এতটাই মাত্রা ছাড়ায় যে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়।
ইনস্টিউট অফ চাইল্ড হেলথের অধ্যাপক ডঃ প্রিয়ঙ্কর পাল জানিয়েছেন, “এখন মূলত ভাইরাল ফিভার দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ শিশুর জ্বরের সঙ্গে প্রচন্ড কাশি হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে হাঁপানি জনিত সমস্যা”। জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আবহাওয়ার পরিবর্তনে হটাত গরমে ভাইরাসের প্রকোপে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। তবে দেখা দিচ্ছে ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপও।”
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন যেহেতু এই সময়ে শুষ্ক আবহাওয়ার ফলে অ্যালার্জি, হাঁচি, সর্দি, গলাব্যথা হয় তাই এই সময়ে গরমজলে নুন দিয়ে গার্গল করা দরকার। সকালে রাতে ঈষদুষ্ণ গরম খেলে ভাল হয়। গলা ভাঙা থাকলে কথা কম বলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।