কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নয়। সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় চিটফান্ড বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এদিন লোকসভায় যে ঘটনা ঘটল, তারপর আর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়।
আজ বুধবার সংসদে চিটফান্ড বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পরই বিপত্তি বাধে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে লোকসভায় বিল পেশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিল নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে দৃশ্যত উত্তেজিত কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি বলেন, ‘আমি এই বিলকে সমর্থন করি। কারণ, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা তথা চিটফান্ড বাংলায় লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। যারা বাংলায় চুরি করেছে, তাঁরাই এখন চোরেদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। অবিলম্বে চিটফান্ডে লুঠ হওয়া টাকা ফেরত দেওয়া উচিত সরকারের’।
অধীরের এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও। তিনি টেবিল চাপড়ে সহমত পোষণ করেন। এমনকী বিজেপি সাংসদরাও অধীরের বক্তব্যকে বাহবা দেন। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেন্ট্রাল হলে সোনিয়া গান্ধীর দেখা হলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এরপরে আর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যাবে না।
লোকসভার ভিতরে এই কাণ্ড দেখেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় সোনিয়া গান্ধীর। সামান্য সৌজন্য বিনিময়ের পরেই রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘লোকসভায় অধীর চৌধুরী যেটা করলেন সেটা ঠিক হল না’। সূত্রের খবর, তিনি প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীকে এও বলেন, ‘এর পর আর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক থাকবে না’। তখন সোনিয়া গান্ধী আশ্বস্ত করেন মমতাকে। তিনি বলেন, ‘দিনের শেষে আমরা এক। ইস্যুভিত্তিক, রাজ্যভিত্তিক কিছু ইস্যুতে মত পার্থক্য থাকতে পারে, তা বলে রাজনৈতিক ছিন্ন করার বিষয় নয় এটি’। সোনিয়ার মনোভাব বুঝে আরও রেগে যান তৃণমূলনেত্রী। সোনিয়ার মুখের উপরেই তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে আমিও মনে রাখব’!