পূর্ব ঘোষণা মতো আজ দিল্লীর যন্তর মন্তরে হতে চলেছে সেভ ডেমোক্রেসি ধর্না। সেখান থেকেই বিজেপি বিরোধিতায় সুর চড়াবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের দাবিতেও এদিন সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। তবে শুধু তৃণমূল সাংসদরাই ছিলেন না, সংসদে তৃণমূলের ধর্নায় দেখা গেল বিরোধী ঐক্যের ছবি। ওই ধর্নায় যোগ দেন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
গণতন্ত্র বাঁচাওয়ের দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ধর্না শুরু করেন তৃণমূলের সাংসদরা। সেখানে অপ্রত্যশিতভাবে হঠাত করেই সেখানে আসেন রাহুল। কথা বলেন তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে। এরপর বিজেপি বিরোধিতায় একজোটে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে সেখান থেকে চলে যান তিনি। মোদী বিরোধীতায় সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা একজোট হয়েছে। সেই মোদী বিরোধীতায় যে তিনিও জোটের পক্ষেই রয়েছেন তা বোঝাতেই কার্যত বোঝাতেই রাহুল গান্ধীর এই পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেডের সভাতেও তিনি আসতে না পারলেও তাঁর হয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন রাহুল। সেই নির্দেশ পেয়ে এসেছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কার্যত জোটের পক্ষে যে কংগ্রেস রয়েছে তা বোঝাতেই এই সিদ্ধান্ত কংগ্রেস সভাপতির। অন্যদিকে, কলকাতার ধর্না মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এরপর আন্দোলন হবে দিল্লীতে। সেই মতো আজ বুধবার যন্তরমন্তরে সেই বিরোধী সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক শিবিরে তুমুল আগ্রহ। আপাতত তিন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি সেখানে নিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং চন্দ্রবাবু থাকছেনই। অখিলেশ, মায়াবতী, তেজস্বীরা নিজেও আসতে পারেন বা প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন বলে খবর।