মোদী সরকারকে সরিয়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য মহাত্মা গান্ধীর কাছে প্রার্থনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যন্তর-মন্তরের ধর্নায় যোগ দিতে গতকাল বিকালেই দিল্লী পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আজ বুধবার সকালে সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূল সাংসদেরা বিক্ষোভ দেখান। সেখানেই যোগ দিয়ে গান্ধীর কাছে প্রার্থনা করেন মমতা ও তাঁর সাংসদেরা।
দলীয় সাংসদদের ধর্না থেকে কেন্দ্রকে তুলোধনা করেন মমতা। পরে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘এক এক রাজনৈতিক দলের এক একরকম চিন্তাধারা আছে। আমি আজ লোকসভায় এইজন্য এসেছি, গান্ধীজি হল আমাদের গণতন্ত্রের মূল প্রতীক। যাকে আমরা দেশের সবচেয়ে বড় মানুষ হিসেবে মানি। আমরা কোনও অনুষ্ঠান করলেও গান্ধীজিকে আগে স্মরণ করি। আজ লোকসভার শেষ দিন। মোদিকে সরিয়ে দেশকে রক্ষার জন্য গান্ধিজির কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি। দেশের একতাকে রক্ষার জন্য, দেশের সবাইকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করেছি। শ্রমিক, ব্যবসায়ী, জওয়ান নির্বিশেষে সবার সুরক্ষার জন্য আমরা প্রার্থনা করেছি’।
লোকসভা অধিবেশনের শেষ দিনে জাতীয় রাজনীতিতে ফের বার্তা দিলেন মমতা। সেখানে একটাই বার্তা দিলেন মমতা। আর তা হল, মোদীকে সরিয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে। দেশের তাবড় নেতা-নেত্রীরা এদিন দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সেখানে বহু বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়েছে তাঁদের।
আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গভবন থেকেই জিটিএ ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল গান্ধীও এদিন তৃণমূলের ধর্নাতে এসে শুভেচ্ছা দিয়ে যান। ফলে দিল্লি জুড়ে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলির নেতা–নেত্রীদের মধ্যে তৎপরতা তুঙ্গে। চন্দ্রবাবু নাইডুর ধর্না মঞ্চে গিয়ে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেওয়া এবং আম আদমি পার্টির সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন তিনি। আপাতত জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে মমতাই যে মধ্যমণি সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
